বন্দরে ১০ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক দু’টি স্থান থেকে নারী-পুরুষের দু’টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টায় বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া থেকে শরীফ হোসেন (৪৫) ও রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারাস্থ তিনগাঁও এলাকা হতে সেলিনা বেগম (৫০)এর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতদের মধ্যে শরীফ হোসেন বারপাড়া গ্রামের মৃত বজলুর রশীদের ছেলে এবং সেলিনা বেগম তিনগাঁও এলাকার রবিউল হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,ভিকটিম শরীফ পেশায় একজন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। দীর্ঘ দিন ধরে সে বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋন নিয়ে ঋনগৃস্থ হয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। উপায়ন্তর না পেয়ে গত শনিবার দিবাগত রাতে সকলের অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে।
অপরদিকে সেলিনা বেগম গত বৃহস্পতিবার তাদের পুরাতন বাড়ি নবীগঞ্জ রেললাইন সংলগ্ন কাজী বাড়ি থেকে কুশিয়ারা তিনগাঁওয়ের নতুন বাড়িতে যাওয়ার পর হতে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে।
২দিন পর তার পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম নতুন বাড়িতে গেলে গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে সেলিনা বেগমের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ নিহত দু’নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম দু’টি ঘটনাস্থলই পরিদর্শণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন বারপাড়ার ঘটনটি প্রাথমিকভাবে আত্নহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে তবে তিনগাঁয়ের ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।