ফতুল্লার কুতুবপুর-নয়ামাটি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ একাধিক মামলার আসামি মোহাম্মদ শরীফ কে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার আমলে নারায়ণগঞ্জের আন্ডার ওয়াল্ডের যুবরাজ খ্যাত বিশাল সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও লুটেরা বাহিনীর হোতা আজমেরী ওসমানের পালিত মাদক কারবারি আমিরের সহচর ছিল এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মোঃ শরিফ।
তবে স্বার্থের প্রয়োজনে কখনো কখনো শামীম ওসমানের খাস চামচা শাহ্ নিজামের ফুট ফরমায়েশ খেটে নিজেকে শাহ্ নিজামের কর্মী পরিচয় দিতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করতো সে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার সাথে সাথেই নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া ও সাইনবোর্ড এলাকার সকল পাঠাও বাইক চালকদের ভাড়া করে তাদেরকে কর্মী সাজিয়ে বিএনপি নেতা জাকির খানের মুক্তির দাবীতে আদালত অভিমূখে অনুষ্ঠিত মিছিলে যোগ দিয়ে নিজেকে জাকির খানের কর্মী পরিচয় দিতে শুরু করে এই পল্টিবাজ শরীফ, তার সহোদর ভাই বাদশা সহ সহযোগী মাদক বিক্রেতারা।
কিন্তু তার পল্টিবাজির সংবাদ প্রকাশিত হয় নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ফলে তার পল্টিবাজির নাটক ধরা পড়ে যায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে। ধরা পড়ে সে বিএনপি নেতা কর্মী এবং জাকির খানের ঘনিষ্ঠজনদের কাছেও।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন কুতুবপুর-নয়ামাটি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পুলিশের অস্ত্রলুটের হোতা, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী, একাধিক মামলার আসামি মোহাম্মদ শরীফ ও বাদশা গং।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লা পুলিশের জালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পোষ্যপুত্র এই খাতারনাক শরিফের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় কুতুবপুর নয়ামাটি এলকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার মৃত সুলাইমানের পুত্র এই ত্রাস মোঃ শরীফ ও তার সহোদর ভাই বাদশা। ফতুল্লা পুলিশের হাতে সন্ত্রাসী শরিফ গ্রেপ্তার হওয়ায় তারা স্বস্তি প্রকাশ করলেও তাদের দাবী শরিফের ভাই কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা বাদশাকে ও যেন অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়।