বন্দর উপজেলাধীন ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদের দুর্নীতির তদন্ত দাবিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকা বিভাগ কমিশনার, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন থানাধীন কামতাল এলাকার মৃত ছাবেদ খন্দকারের ছেলে মো. মাসুদ খন্দকার।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে যে- বন্দর থানাধীন ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদে সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাসুম আহমেদ, পিতা-মৃত রিয়াজ উদ্দিন, সাং-দশদোনা, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ বিগত ২০১৬ইং সালে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে বন্দর থানার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
বর্ণিত মাসুম আহমেদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবার পর এলাকায় তাহার প্রভাব বিস্তার করিয়া সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী সহ সীমাহীন দুর্নীতি করিয়া জনগন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিপুল পরিমান অর্থ লোপাট করিয়া অনেক ধন সম্পদের অবৈধ মালিক হইয়াছেন।
সে তাহার মালিকানাধীন ইট ভাটা পরিচালনায় বিপুল পরিমান ট্যাক্স ভ্যাট ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য ফি ফাকি দিয়া অবৈধ ভাবে ইটের ভাটা পরিচালনা করাকালে বিগত ২৬/১/২০২১ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা সহ ইট ভাটার চুল্লী গুড়িয়ে দিলেও বর্ণিত মাসুম আহম্মেদ সরকারী নির্দেশ অমান্য করিয়া পুনস্তরায় তাহার ইট ভাটা চালু করিয়া তথায় অবৈধ ভাবে ব্যবসা করিয়া আসিতেছে এবং সে তাহার ইটভাটার অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়া দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ ব্যবহার করিয়াছেন ও স্থানীয় জমি হইতে অবৈধ ভাবে জোড়পূর্বক মাটি কাটিয় তাহার ইট, ভাটায় ব্যবহার করিয়াছে। তাহার লোকজন নিয়া মাটি কাটার সময় বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালনের মূল পাইপ লাইন কাটিয়া সরকারী অর্থের মারাত্মক এক ক্ষতিসাধন করিয়াছে।
মাসুম আহম্মেদ চেয়ারম্যান থাকাকালে ধামগড় ইউনিয়নের সাধারন জনসাধারনের জন্য বরাদ্দ সামারসিবল পাম্প সাধারন জনসাধারন বরাবরে প্রদান না করিয়া ১৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা লোপাট করিয়াছে। উপরোক্ত বিষয়ে স্থানীয় দৈনিক পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট করা হইয়াছিল।
এছাড়াও বর্ণিত মাসুম আহমেদ দীর্ঘদিন যাবৎ তাহার আত্মীয় স্বজন দ্বারা অবৈধ মাদক ব্যবসা ও ডাকাতি ইয় আসিতেছিল। বিগত ১২/১/২০১৭ইং সালে এরূপ এক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মাসুম চেয়ারম্যানের ভাগিনা বর ডিবি পুলিশ দ্বারা গ্রেফতার হয়।
ভূমিদুস্য মাসুম আহমেদ ও তাহার আত্মীয় স্বজন স্থানীয় লোকজনের জায়গা জমি অবৈধ জবর দখল সহ প্রায়সই মানুষের বাড়ীঘর ভাংচুর ও তাহার উশৃঙ্খল ছেলে, ভাতিজা, ভাগিনা দ্বারা এলাকায় যুবতী তরুনীরা নানাহ রকম ভাবে হেনস্থা ও হয়রানীর শিকার হইয়া তাহার কাছে বিচার প্রার্থী হইলেও কোন সুরাহা না করিয়া উপরোক্ত মানুষ জনের সাথে দুব্যবহার করিয়া আইন বর্হিভূত কাজ করিয়াছে।
এছাড়াও বর্ণিত মাসুম আহমেদ পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য হইয়া পুনরায় এলাকায় তাহার প্রভাব বিস্তার ও জেলা পরিষদ হইতে প্রাপ্ত বরাদ্ধ জনসাধারন কে না দিয়া অশ্রুফ করিয়াছে এবং কোন সচেতন ব্যক্তি তাহার কুতর্ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হইলে বা প্রতিবাদ করিলে পেশী শক্তি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটাইয়া হয়রানী করিয়াছে।
বর্ণিত মাসুম চেয়ারম্যান ও তাহার দোসরগন ইতিপূর্বে এরূপ ভাবে বিগত সরকারের আমলে জনৈক ওয়াদুদ খন্দকার পিতা-ছাবেদ খন্দকার, সাং-কামতাল, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জকে অযথা হয়রানীর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করিয়া পুলিশ দ্বারা অমানুসিক নির্যাতন করিয়াছে যাহার ফলে ওয়াদুদ খন্দকার বিগত ১০/০১/২৩ইং তারিখ মৃত্যুবরন করিয়াছে এ বিষয়ে বিগত ২৮/৮/২৪ইং তারিখে বর্ণিত ওয়াদুদ এর ভাই বন্দর থানায় এক হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-২৫, তাং-২৮/৮/২৪ইং, ধারা-৩৮৫/৩০৪ দঃ বিক্স এতদন্নিও বর্ণিত মাসুম আহমেদ তাহার ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ সদস্য থাকাকালে জানা অজানা। প্রকার অসৎ কার্য করিয়াছে এবং অদ্যবধি সে এলাকায় নানা প্রকার অবৈধ কার্য পরিচালনা করিতেছে।
প্রকৃত অর্থে, মাসুম আহম্মদ চেয়ারম্যান, একজন আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং ইতিপূর্বে তাহার অবৈধ অর্থের সন্ধান দুর্নীতি দমন বিভাগে এক অভিযোগ তদন্তাধীন ছিল, যাহা সে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ধামা চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চালাইয়া তাহাও ফাইলবন্দী করিয়া রাখিয়াছে।