সিদ্ধিরগঞ্জে ইলিয়াস ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা চালিয়ে চাঁদা দাবি করেছে একটি গ্রুপ। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বিষয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানানোয় দ্বিতীয় দফায় আবারও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
এ ঘটনা ভুক্তভোগী ইলিয়াস ইসলাম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলে-(নাসিক) ৪ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মৃত রজ্জবের ছেলে মো: জলিল (৫২), একই ওয়ার্ডের মো: ইদ্রিস (৪২) এবং মোতালেব (৪৫)।
অভিযুক্তপত্র থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী একজন ব্যবসায়ী। তার সিদ্ধিরগঞ্জের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ আটি ওয়াবদা কলোনী এলাকায় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরআগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার সময়ে উল্লেখিত অভিযুক্তরা তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালমন্দ করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
পরে সেসময় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবীরা চাঁদার টাকা দিবে না বলে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা লোহার রড, এসএস পাইপ, কাঠের ডাসা ও রামদা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে ভাংচুর করে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এরপর প্রতিষ্ঠানের মালিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাংচুরের দৃশ্য দেখে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহীনিকে বিষয়টি অবগত করেন।
আরও লিখা ছিল, তখন ইলিয়াস ইসলাম তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা সেনাবাহীনিকে জানানোর কারণে অভিযুক্তরা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে পূনরায় আবার তার অফিসে গিয়ে কর্মরত কর্মচারীদের মারধর করে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
তখন প্রতিষ্ঠানের লোকজন ডাক চিৎকার করা শুরু করলে তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা বিভিন্ন প্রকার হুমকিধামকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
চাঁদা দাবি নাকি অন্যকোনো শত্রুতা রয়েছে তা জানতে অভিযোগকারী ইলিয়াস ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, মূলত পট পরিবর্তন পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় অভিযুক্তরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হামলা চালিয়ে চাঁদা দাবি করেন।
তারা সুবিধাজনক বলে ধারণা করছি। আমি জানতে পেরেছি শুধু আমারটাতেই নয় এমন অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে তারা চাঁদা দাবি করেছেন। তবে, এরা কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নই বলে জেনেছি। আমি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রশাসনের সহায়তা চাই।
অভিযোগের তদন্তভার পাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী-উপপরিদর্শক (এএসআই) নূরে আলম বলেন, আমার হাতে এখনো অভিযোগপত্রটি আসেনি। আর আমি অলরেডি এ থানা থেকে বদলির আদেশ পেয়েছি। অভিযোগকারী থানায় এসে যোগাযোগ করে অন্য আরেকজনকে দায়িত্ব দিলে ভালো হবে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন, একজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।