নারায়নগঞ্জের অপরাধ জগতের ডন খ্যাত আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহোযোগি হাজীগঞ্জ এলাকার রফিকুল ইসলাম শিপলু কিছুদিন আত্নগোপনে থাকার পর আবারো এলাকায় ফিরে এসে অতিত অপকর্মে সক্রিয় হওয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফলে স্থানীয় সর্ব মহলে আবারো নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পরেছে। রফিকুল ইসলাম শিপলি হাজীগঞ্জের ফিরোজ গাজীর পুত্র।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী সরকারের শাসনামলে রফিকিল ওসলাম শিপলু আজমেরী ওসমানের সহোযোগি হিসেবে হাজীগঞ্জ সহ আশপাশ এলাকাজুড়ে গড়ে তুলেছিলো অপরাধের সম্রাজ্য। চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা সহ নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে ব্যাল্ক মেইলিংয়ের মতো অপরাধের সাথে সে সরাসরি জড়িত ছিলো।
বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে শিপলুর নির্দেশ মতো ফ্ল্যাট বাড়ীতে ঐ ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসা হতো। তারপর ব্যবসায়ীকে শিপলুর টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে টর্চার করে আদায় করা হতো মোটা অংকের টাকা। বেশ কয়েক বছর পূর্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে নারী সহ পুরো চক্র গ্রেফতার হয়।
সূত্র মতে, শিপলু একজন নারী পিপাসু। সে ইতিমধ্যে ৫-৬ টি বিয়ে করেছে। সর্বশেষ প্রবাসী এক স্ত্রী কে ভাগিয়ে নিয়ে করে।
স্থানীয়রা জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজমেরী ওসমানের গাড়ীর বহরের সামনের কাতারে ও শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছিলো শিপলু কে। কিন্ত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলে শিপলু তার বাহিনী নিয়ে নিজেও আত্নগোপনে চলে যায়। বেশ কিছুদিন আত্নগোপনে থাকার পর গত কয়েকদিন পূ্র্েব এলাকায় ফিরে এসে স্ব-মহিমায় সক্রিয় হওয়ার চেস্টায় লিপ্ত রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে আন্দোলনকারী ছাত্র হত্যার একাধিক মামলা থাকার পরেও প্রকাশ্যে এলাকা ঘুরে ফিরছে। শীর্ষ এই অপরাধিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আজমেরী ওসমানের এই অঞ্চলের অপরাধজগতের অনেক অজানাকাহিনী বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।