সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধু নূপুর আক্তার (২৬) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্বামী গ্রেপ্তারকৃত রবিউল ইসলাম বাবু।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাফিয়া শারমিন এর আদালতে তার এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে আদালত আসামি রবিউল ইসলাম বাবুকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ। এর আগে নূপুর আক্তারকে হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা শাহজাহান চৌকিদার।
মামলায় তিনি আসামি করেন নিহত নূপুর আক্তারের স্বামী রবিউল ইসলাম বাবু (৩২), তার বাবা দুলাল শেখ (৬০) ও মা বিলকিস বেগম (৫৫) কে। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নূপুর আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে মামলায় বাদী অভিযোগ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার কুমারিয়া জোলা গ্রামে। তারা সবাই সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমজি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: ওয়াসিম আকরাম বলেন, আসামি রবিউল ইসলাম বাবু আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রবিউল ইসলাম বাবু জানিয়েছেন তার স্ত্রী নূপুর আক্তারকে তিনি প্রচন্ড ভালোবাসলেও সে তার সাথে দূর্ব্যবহার করতো।
স্ত্রী নূপুর তাকে পায়ের স্যান্ডেল দিয়েও পিটিয়েছে। এছাড়া তাকে অহেতুক সন্দেহ করতো। সেই ক্ষোভ থেকেই স্ত্রী নূপুরকে হত্যা করেছেন বলে আসামি রবিউল ইসলাম বাবু স্বীকার করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম আরও বলেন, এই হত্যা মামলায় দুই নম্বর আসামি দুলাল শেখকেও (বাবুর বাবা) আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আরেক পলাতক আসামি বিলকিস বেগমকে (বাবুর মা) গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি চৌধুরীপাড়া এলাকায় স্বামীর ভাড়া বাসা থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় নূপুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নূপুরকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রবিউল ইসলাম বাবুকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
পরে পুলিশ নিহত নূপুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত নূপুর আক্তারের বাড়ি ভোলা জেলা সদরের কোরালিয়া এলাকায়।