রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় খনিজ কয়লা লোড-আনলোড ঠিকাদারের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পর থেকে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। তারা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেনের বাড়ির সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ]খবর পেয়ে
রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর আগে গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদার টাকা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ রামদা, চাপাতি, দা, লোহার রড, লাঠিসোঠা নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সন্ত্রাসীরা মহড়া দেয়। ওই ঘটনায় সোমবার দুপুরে ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেন বাদি হয়ে সেনাবাহিনীর সুবর্ণগ্রাম ক্যাম্প ও রূপগঞ্জ থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রূপগঞ্জের দড়িকান্দি এলাকার বাসিন্দা আশরাফউল্লাহ ছেলে মোতাহার হোসেন তার বাড়ির পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে উত্তরা ট্রের্ডাস প্রাইভেট লিমিটেডের ঠিকাদারী নিযুক্ত হয়ে খনিজ কয়লার লোড-আনলোডের কাজ পান। এ কাজ করতে হলে দড়িকান্দি পূর্বপাড়া এলাকার সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজ মেহেদী হাসান রিপন, লিটন মিয়া, মেহেদী হাসান আকিব, আব্দুর রহিম খোকা, সাদেকুর রহমান সাদু, পাপ্পু, আলম মিয়া, শাহ আলম, কামাল মিয়া, সজিব, সিরাজুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন প্রকাশ্যে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা না দিলে ব্যবসায়ী মোতাহার ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্ত্রাসীরা মোতাহার হোসেন, সাইড অফিসের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম ও কর্মচারী হাসিবকে এলোপাতারী পিটিয়ে জখম করে। তখন সন্ত্রাসী রিপন ও আকিব মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয় বলে জানান ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেন।
ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেনের বড় ভাই মোশারফ হোসেন নাঈম জানান, সন্ত্রাসীরা গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজী ও অস্ত্রবাজী করছে। তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সুবর্ণগ্রাম ক্যাম্প ও রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পর থেকে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, অভিযোগটি তদন্তাধিন রয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের পর রূপগঞ্জ থানার এসআই আরিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে রিপোর্ট প্রদান করেছেন। সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।