আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর সোনারগাঁও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যায়। সুবিধাবাদী কিছু বিএনপি নেতা স্বীয়স্বার্থ চরিতার্থ করতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের এলাকায় এনে তাদের ছায়াতলে ঠাঁই দিচ্ছে।
বিএনপির গুটি কয়েক নেতার আশ্রয়ে থাকা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এলাকায় অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এতে বিএনপির সুনাম মারাত্মক ভাবে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিএনপির এ সমাবেশে বস্তল গ্রামের বিএনপি নেতা গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সমাবেশে নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠছে।
সমালোচকরা বলেন- বিএনপি নেতা গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে বস্তল এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা গদা কালাম, যুবলীগ নেতা মফিজুল, আলী আকবর, লালন, খায়ের, শওকত তিলাবো এলাকার যুবলীগ নেতা দিপু, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল, আলামিন, জাহিদ, লিখন, সফু, কলতপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা মনির ভূঁইয়া, শাহপরান, মনির হোসেন, বাসাবো এলাকার যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামান, কালারটেকের যুবলীগ নেতা নজরুল, হাতুড়াপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা সেলিম, মহজমপুর কাজীপাড়া এলাকার আনোয়ার কাজী দলবল নিয়ে মিছিলে শামিল হয়ে সমাবেশে আসে।
এ নিয়ে জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র নিন্দা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। কারণ এসব আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারাই এক সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিধন, নির্যাতন ও মামলা- হামলায় যোগান দিতো। এখন আবার তারাই দলবল নিয়ে বিএনপির সমাবেশে শামিল হওয়া থেকে সব কিছুতে অংশ নিচ্ছে। এতে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার গুঞ্জন শুরু হয়।
এখন বস্তল গ্রামের বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তার ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে ওইসব যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার আসকরা পাচ্ছে। এতে বিএনপি দলীয় লোকজন কোণঠাসা হয়ে পড়বে এবং বিএনপি দলীয়দের ভবিষ্যত নেতৃত্বে মনোবল দূর্বল হবে।
তাই এখনই বিএনপি নেতা গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে কঠোর হস্তক্ষেপ ও ব্যবস্থা নিতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিকট জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গোলজার হোসেন বলেন, আওয়ামা লীগের অনেক নেতাকর্মী বিএনপিতে আসছে। তাদের নিয়েই বিএনপির পাল্লা ভারী করতে হবে।