বাংলাদেশে আসলে কোনো সংখ্যালঘু নেই। কারণ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান বা অন্যকোনো ধর্মের যারা রয়েছি, আমরা সকলেই বাংলাদেশি। এমন মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ সভাপতি গোলাম মোহাম্মাদ সাদরিল।
সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারে শ্রী শ্রী জিউর রামকানাই মন্দিরে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপন উপলক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুজা উদযাপন পরিষদ ও মন্দিরের পুজা কমিটির উদ্দ্যেগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কাউন্সিলর সাদরিল বলেন এখানে যারা অন্য ধর্মের যারা রয়েছে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। অন্য ধর্মাবলম্বীর কারো ওপরেই কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। তাই গুজবে কান দিবেন না, আমরা সকলেই বাংলাদেশি। এখানে কোন সংখ্যালঘু নেই। আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই দন্ধ নেই।
আমাদের মন্দিরের পাশেই মসজিদ এবং মাদ্রসা রয়েছে আমরা সবাই মিলেমিশে যার যার ধর্ম পালন করি। এখানে কোনদিন কোন সমস্যা হয়নি এবারের পুজায়ও হবে না। তিনি বলেন শারদীয় দুর্গাপুজায় আমি প্রতিদিন একবার হলেও মন্দিরে আসবো এবং আপনাদের পুজাঁর সময় সার্বিক নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবো। এ সময় মন্দিরের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মাঝে শিক্ষা উপকরন রিতরন করেন কমিশনার।
সিদ্ধিরগঞ্জ পুজাঁ উদযাপদন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর বলেন, আমরা দীর্ঘ বছর যাবৎ এখানে ঝাকঝমক ভাবে পুজা উদয়াপদন করে আসছি। এখানে কোন ধরনের সমস্য হয়নি। এবারের পুজাঁ আরো বড়ো পরিসরে করবো। আমাদের কাউন্সিলর মহোদয় সব সময় আমাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করেছে। এবারের পুজাঁয় ও তিনি আমাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, মন্দিও পুজাঁ কমিটির বাবু সভাষ চন্দ্র তরফদার, অনিক সরকার, বাসুদেব সিং, দীপালি সিং, দীপক কুমার দে, নারায়ণ রায়, রতন দে, অজিত পোদ্দারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।