নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধা কন্যা ও জামাতাকে পিটিয়ে আহত করেছেন আরেক মুক্তিযোদ্ধা। গতকাল সোমবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এঘটনায় আহত মানসুরা আক্তার বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত মানসুরা আক্তার জানান, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন তার বাবা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তিনি সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁ শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই ঋণের টাকা থেকে তার তিন বোনকে ২লাখ টাকা দিয়েছেন। সম্প্রতি তার স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেনের টাকার প্রয়োজন হলে তার বাবার ভাতার হিসাব থেকে বোনদের না জানিয়ে ৬০হাজার টাকা উত্তোলন করেন।
পরবর্তীতে এ টাকা পুনরায় হিসেবে জমা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে মানসুরার বিরুদ্ধে বিচার দাবি করেন তার বোন রুজিনা, রত্না ও সুলতানা। পরে সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেন তাদের ডেকে নেন।
সোমবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যাওয়ার পর বিষয়টি মিমাংসা করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা। মিমাংসা শেষে এক পর্যায়ে বর্তমান ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেন মুক্তিযোদ্ধার তিন কন্যাকে ৬০হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
সমস্যার কারণে এখন দিতে পারবেন না বলার এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের জামাতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার স্ত্রী মানসুরা আক্তারকে চর থাপ্পর ও গলা চেপে ধরে আলতাফ হোসেন। এসময় তাদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি হয়। পরে আহতরা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ডেপটি কমান্ডার আলতাফ হোসেন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেয়াদবি করার কারনে তাকে গলায় চেপে ধরেছি। তবে চার বোনের টাকা একা উত্তোলন করায় তাকে ডেকে শাসন করেছি। তবে তার স্বামীকে মারধর করা হয়নি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।