সিদ্ধিরগঞ্জে পাইনাদী নতুন মহল্লা খাল পাড় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা চত্বরকে ফুল কলি জামায়াত নগর নামকরণ করে একটি সাইনবোর্ড লাগানো নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে নির্মিত স্মৃতিস্তম্বের নাম ফলকটি কে বা কারা ভাংচুর করে রেখেছে। তার সামনে লাগানো রয়েছে ফুল কলি জামায়াত নগর নামকরণ করে একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডটির নিচে লেখা রয়েছে সৌজন্যে আব্দুস সোবহান মাষ্টার।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, আব্দুস সোবহান মাষ্টার জামায়াত ইসলামী সমর্থিত একজন স্কুল শিক্ষক। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের অঁধারে এ সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শিল্পপতি চাঁন মিয়া জানান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মতিক্রমে ২ বছর আগে পাইনাদী নতুন মহল্লা খালপাড় এলাকার তিন রাস্তার মোড়টি মুক্তিযোদ্ধা চত্বর নাম করণ করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি চারণনের লক্ষে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণ করা হয়। ফলে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর হিসেবে স্থানটি পরিচিতি পায়।
তিনি অভিযোগ জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিন পর কে বা কারা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের স্মৃতিস্তম্বের নাম ফলক ভেঙে ফেলে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপনে স্থানটি ফুলকলিমোড় জামায়াত নগর নামকরণ করে স্মৃতিস্তম্বের সামনে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। সাইনবোর্ডে সৌজন্যে ফুলকলি স্কুলের মালিক আব্দুস সোবহান মাস্টারের নাম লেখা রয়েছে।
এর ফলে প্রতিয়মান হচ্ছে স্থানটির নাম জামায়াত নগর করার পাঁয়তারা চলছে । এটি জামায়াত কর্মী আব্দুস সোবহান মাস্টারের কাজ। তিনি এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি মুছে ফেলতে এ সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন।
আব্দুস সোবহান মাস্টারের এমন কর্মকাণ্ড এলাকার স্বাধীনতাকামী লোকজন মেনে নিবে না বলে মন্তব্য করে তিনি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান ।
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে আব্দুস সোবহান মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।