নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী আস্থাভাজন আওয়ামীলীগ নেতা ধর্ষণ মামলার আসামি ভূমিদস্যু খ্যাত কাজল এর বিরুদ্ধে প্রবাসী এবং স্থানীয় অসহায় মানুষের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কজল জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ক্যানাল ইসলামবাগ এলকায় অসহায় ও নিরিহ মানুষের জমি দখল করে নিয়েছে।
এই ফেন্সি কাজলের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। কাজল বাহিনীর সন্ত্রাসীদের জুলুম আত্যাচারে সব সময় আতংকিত হয়ে থাকতো ঐ এলাকার মানুষ।
অসহায় মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কায়েম করা ছিলো এই কাজলের মূল পেশা। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এসব অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ভূমিদস্যুখ্যাত কাজলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী। r
স্থানীয়রা জানান, রূপগঞ্জের সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর এর রাজনীতি করার সুবাদে তার আস্থা ভাজন ও আশির্বাদপুষ্ট ক্যাডার হয়ে উঠেন কাজল। সাবেক এমপির শেল্টারে দলীয় প্রভাবখাটিয়ে এলাকায় নিরিহ মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতো।
কাজলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও জমি দখলসহ নানা অভিযোগে এক ডজন মামলা রয়েছে। বিগত ১৫ বছর আওয়ামীলীগের অবৈধ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছে এই কাজল।
সরকারের পালা বদলের পর এখন সে বিএনপি বড় নেতা পরিচয়ে দিয়ে গোলাকান্দাইল অসহায় মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি সহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করে আসছে। তার ভূমিদস্যুতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে পরিত্রান পেতে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে গোলাকান্দাইল এলাকাবাসী।
কাজলের অত্যাচারে অতিষ্ট এক ভুক্তভোগী প্রাবাসী মো. রতন বলেন, গোলাকান্দাইল এলাকায় আমার ৯ শতাংশ জায়গার উপরে টিনশেটের ৪ রুমের নতুন বাড়ী নির্মাণ করা হয় ওই বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দখল করে নেয় ভূমিদস্যু কাজল বাহীনি। ভূমিদস্যু ফেন্সি কাজল বাহীনিকে ১০ লক্ষ চাঁদা দিতে হবে, আর দাবিকৃত চাঁদা দিলে বাড়ি খালি করে দিবে। উক্ত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যলয়ে ও রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
আরেক ভুক্তভোগী মোক্তার শেখ বলেন, আমার ওই এলাকায় সাড়ে আট শতাংশের দুই খন্ড জমি আছে রয়েছে ওই জায়গা জমি ভূমিদস্যু কাজল ও তার ভাই বেলায়েত ভাড়া কথা বলে তারা জায়গা দখল করে বসে আছে। জায়গার বিষয়ে কোন কিছু বলতে গেলে ভূমিদস্যু কাজল তার বাহীনি দিয়ে অপহরণ সহ প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
কাজল বাহীনিকে দাবিকৃত ১৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। অমি সহ গোলাকান্দাইল এলাকায় আরো ভুক্তাভোগী আছে যারা কাজল বাহীনির ভয়ে কিছিু বলতে পারছেনা। এলাকাবাসী বলছে এই কাজল বাহীনিকে দমন না করা গেলে যে কোন সময়ে গোলাকান্দাইল এলাকায় প্রানহানী মত বড় ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
উক্ত বিষয়ে কাজল বলেন, আমি ২০০৪ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি, আমি কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি নাই। আমার সাথে কারো কোন জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব নেই। আমি কারো জায়গা জমি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করি নাই এবং কারো জমি দখল করে চাঁদা দাবি করি নাই।
আমার বিরুদ্ধে বিএনপির ভাঙচুর মামলা চলমান আছে। রতন যে জায়গা আছে সেই জায়গায় মালিকানা নিয়ে সমস্যা আছে, ওই বিষয়ে নিয়ে এলাকার লোক জন সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করছি।
