গত ৩ দিনের টানা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে বন্দর উপজেলার নিম্নঅঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবারও দেখা দিয়েছে কৃত্তিম বন্যা।
এ ছাড়াও বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া, চর ঘারমোড়া, বুরুন্দী, ১নং মাধবপাশা, কান্দীপাড়া, হাজরাদী চাঁনপুর, শান্তিনগর, চর ধলেরশ্বরী, কলাগাছিয়া, মহনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারনে বন্দরে শীতলক্ষ্যা, ধলেরশ্বরী ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে বন্দরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে দিনমজুর, কর্মজিবী ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ভোগান্তি শিকার হয়েছে। বন্দরে অধিকাংশ রাস্তা ছিল ফাঁকা।
দীর্ঘ দিনের ভোগান্তিতে থাকা জনৈক বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, সুষ্ঠ ড্রেনেজ ও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বন্দর থানার ফরাজিকান্দা এলাকায় এ কৃত্তিম বন্যা দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘ দিনের অবধারিত এই সমস্যার বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎসময়কার মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী সরেজমিনে একাধিকবার পরিদর্শণে এসে আশ্বাস দিলেও দায়িত্ব থাকা অবধি তার কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
অপরাপর বাসিন্দা হাজী সিরাজুল ইসলাম জানান,এই সমস্যা অনেক দিনের। বৃষ্টি হলেই বাড়ি-ঘর সব তলিয়ে যায়। নামাজ পড়তেও যাওয়া যায়না।
যুব সমাজের প্রতিনিধি রাসেল ইসলাম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মেয়র আইভী তখন ইচ্ছে করলেই সামান এই কাজটি করে দিতে পারতেন তারও কিছু গাফিলতি ছিল। এই পানির কারণে মানুষের যে কত ভোগান্তি তা কেবল আমরা এলাকাবাসীই উপলদ্ধি করতে পারি।
ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম জানান,সমস্যার কথা কি আর বলবো আমরা ৪/৫বছর ধরে এই জলাবদ্ধতায় আছি। বৃষ্টি হলেই রান্না ঘরে সব সময় পানি থাকে রান্নাও করতে পারিনা। রাতের বেলাতো পানিতে হাবুডুবু খেতে হয়। জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী জনসাধারন।