বন্দরে বাড়ি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় গৃহবধূসহ একই পরিবারের ৩ গুরুত্বর জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । ওই সময় ভূমিদৎসুরা বাড়ি ঘরে ব্যাপক তান্ডবনীলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করে। আহতরা হলো রবিউল ইসলাম (৫০) গৃহবধূ মনিকা (২৬) ও ওবায়দুল্লাহ (৬৮)।
স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আহত রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার (১১ সেপ্টম্বর) সকালে হামলাকারি হাবিবুর,কায়কোবাদ, আমিনুলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা পানির ট্যাংকি এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, বন্দর থানার সোনাকান্দা পানির টাংকি এলাকার মৃত আব্দুল আউয়াল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলামের মালিকানাধীন বাড়ির জায়গা নিয়ে প্রতিবেশী মৃত আমানুল্লাহ মুন্সির ছেলে হাবিবুর রহমান ও কায়কোবাদ গং এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
রবিউল নিরিহ হওয়ার কারনে প্রতিবেশী ভূমিদস্যু হাবিবুর রহমান ও তার বড় ভাই কায়কোবাদ গংরা রবিউলের মালিকানাধীন জায়গা দীর্ঘ দিন ধরে জোর পূর্বক ভাবে দখল করার পাঁয়তারা করে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৬টায় ভূমিদৎসু হাবিবুর রহমান ও তার বড় ভাই কায়কোবাদ ও বোন তাহমিনা বেগমের নেতৃত্বে কায়কোবাদ মিয়ার ছেলে আমিনুল ও বাবু মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রবিউল মিয়ার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারীরা বাড়ির থাইগ্লাস থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারী গৃহবধূ মনিকা বেগমকে শ্লীতাহানি করে। হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে নিরিহ রবিউলসহ একই পরিবারের ৩ জন গুরুত্বর জখম হয়।
হামলাকারি ভূমিদৎসু হাবিবুর ও কায়কোবাদ গং খারাপ প্রকৃতির মানুষ তারা যে কোন সময় আমাদেরকে ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছি। ভূমিদৎসুদের কবল থেকে চিরমুক্তির জন্য আমরা জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।