নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাজী নুর উদ্দিন আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের সহধর্মিণী তারাবো পৌরসভার মেয়র ও অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাছিনা গাজীর স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে অত্র বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা, সদস্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার মো. রেজাউল করিম। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হাজী নুর উদ্দিন আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য , সাবেক ও বর্তমান ছাত্র- ছাত্রীদের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন রূপগঞ্জ উপজেলার ইউএনও এর কাছে জমা দিবেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর হাজী নুর উদ্দিন আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের ৩১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করে যে- অত্র বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর মো. সাগর, মো. মজিবুরকে চলতি বছরের ৭ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ১২ জুলাই নিয়োগ কমিটির অনুমোদন দেখানো হয়। ১ আগষ্ট রিক কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরের যোগদান দেখানো হয় এবং গত ৬ আগষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ইহা অনুমোদন দেখানো হয়।
উল্লেখ্য যে, ৫ আগষ্ট খুনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকাবস্থায় গত ৬ আগষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব হাছিনা গাজীসহ অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর জাল/নকল করে রেজুলেশন করা হয়।
আমাদের জানামতে ঐদিন হাছিনা গাজীসহ কমিটির সকল সদস্য পলাতক ছিলেন এবং তারা সবাই আওয়ামীলীগের পদধারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বটে। ইতিমধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার অফিস থেকে জানানো হয়েছে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর জাল ও জালিয়াতির করা হয়েছে বিধায় গ.চ.ঙ আবেদন প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে যাহা আমরা নিম্ন স্বাক্ষকারীগণ এই মান অবহিত করিতেছি যে, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনার আফজল হোসেন বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব দিয়ে কাজ করিয়ে পরক্ষনে নিজের দায়িত্ব অস্বীকার করে। এভাবে একজন শিক্ষকের সাথে আরেকজন শিক্ষকের বিভেদ সৃষ্টি করে।
উনি বিদ্যালয়ে না এসে বলে উনি অসুস্থ আবার ছাত্রদের বলে উনি সূত্র। উনাকে বিদ্যালয়ে আসতে দেয়া হচ্ছে না। এভাবে ছাত্র শিক্ষদের সাথেও বিভেদ তৈরি করেছে এমনি মিথ্যুক দুর্নীতি গ্রন্থ প্রধান শিক্ষকের অধীনে আমরা কাজ করতে বিব্রত ও অপারগতা প্রকাশ করছি।