নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা আদায়কালে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক চাঁদাবাজ কামাল

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:২২:০৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা আদায়কালে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক চাঁদাবাজ কামাল

আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা শুরু করে ১নং ওর্য়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ও তার ভাই কামাল। শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ বাজার জবর-দখল ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। এতে আতঙ্ক দেখা দেয় জনসাধারণের মধ্যে। পুলিশি কার্যক্রম শিথিল থাকার কারনে বিভিন্ন অপরাধ-অপকর্ম করে আসছিল তারা দুইভাই।

 

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ বাজারের দোকান থেকে চাঁদা আদায়কালে কামালকে হাতে নাতে ধরে শিক্ষার্থীরা। পরে চাঁদাবাজ কামালকে গনধোলাই দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজে অবস্থিত সেনাবাহীনির ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

 

এলাকাবাসী জানায়, গত ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পরই নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে সালাউদ্দিনসহ তার সহযোগীরা। শুধু সেখানেই নয় তার বাড়ির আশপাশের বাসিন্দাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  আবু সুফিয়ান নামে এক যুবককে মারধর করে রক্ত জখম করেছে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ব্যবসায়ীদের থেকে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ ফল ব্যবসায়ী আনোয়ারসহ প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সালাউদ্দিনের দাবি প্রতি মাসে তাকে ভাড়া দেওয়া লাগবে।

 

অভিযোগ রয়েছে সালাউদ্দিনের ছেলেরা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকারের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতেন। রদবদলের পর এখন তারা নিজেদের বিএনপি নেতা দাবি করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হচ্ছে।

 

নাম প্রকাশ না করা সর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, বিতর্কিত এই নেতা তার ছোট ভাই কামাল ও অন্যান্য সহযোগীরা অস্থায়ী দোকানপাট দখলে নিয়ে ব্যাবসায়ীদের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা উত্তোলন করছে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা প্রায় এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজের ভেতর সেনাবহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায় চাঁদাবাজ কামালকে। এসময় তারা নানা স্লোগান দেয় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় জানান, সালাউদ্দিন চাউলের ব্যবসার আড়ালে ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল। পুলিশের হাতে সে গ্রেপ্তারও হয়েছিল। একজন ভুমিদস্যু হিসেবেও তার এলাকায় পরিচিতি রয়েছে। মিজমিজি পাগরলাবাড়ি এলাকার সালাউদ্দিনের নিয়মিত মদের আসর বসে। সেখানে মদ খাওয়ার পাশাপাশি জুয়া চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

সম্পর্কিত বিষয়: