বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ফকির আক্তারুজ্জামান, ফকির মাশরিকুজ্জামান, ফকির কামরুজ্জামান নাহিদসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আড়াইহাজার থানায় লিখিত ডায়েরী দায়ের করেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। জিডি নং - ২৪৯। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লিখিত অভিযোগে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা হুবুহু তুলে ধরা হলো :
আমি নজরুল ইসলাম আজাদ (৪৫), পিতা- মৃতঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাস্টার, সাং-পাঁচরুখী, ইউনিয়ন সাতগ্রাম, খানা-আড়াইারাজার, জেগা নারায়ণগঞ্জ। এই মর্মে লিখিত ভাবে সাধারণ ডায়েরী করার আবেদন করিতেছি যে, ১। ফকির আক্তারুজ্জামান, পিতা-মৃতঃ ইউসুফ আলী ফকির, ২। ফকির মাশরিকুজ্জামান, পিতা-ফকির আক্তারুজ্জামান, ৩। ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ, পিতা-ফকির বদিউজ্জামান, সর্ব সাং-পাঁচরুখী, ইউনিয়ন-সাতগ্রাম, থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী দায়ের করিতেছি যে, উপরোক্ত বিবাদীগণ ও অজ্ঞাতনামা কিছু কুচক্রি মহল ও সন্ত্রাসীদের মদদে ও অর্থায়নে আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হইয়া আমার জনপ্রিয়তা, সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য ও মানহানীকর বিভিন্ন মিথ্যা অপপচার করিতেছে।
আমার ও আমার দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করিয়া মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করিয়া আমার জনপ্রিয়তা, সুমান ক্ষুন্ন ও মানহানীকর কর্মকান্ডে লিপ্ত রহিয়াছে।
এইসব মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগণ আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হইয়া বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও আওয়ামীলীগের মদদে আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে জীবন নাশের হুমকি দিতেছে এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়ে জনমনে এবং বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে।
উল্লেখ থাকে যে, উক্ত বিবাদীগণ বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আব্দলনের বিরুদ্ধে আন্দলন নখ্যাত করার জন্য আওয়ামীলীগকে অর্থ যোগান দিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যার পেছনে সক্রীয় ভূমিকা থাকায় ২ (দুই) টি বৈষম্যবিরোদী ছাত্র হত্যা মামলায় আড়াইহাজার থানায় আসামী ভুক্ত হয়।
বিবাদীগণ ষড়যন্ত্রকারী মহলের মদদে আমার বিরুদ্ধে বেগম আনোয়ার স্কুল এন্ড কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য আদায় করার চেষ্টা করে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা সত্য ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করায় বিবাদীগণ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মানহানী এবং আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে জীবন নাশের হুমকি দিতেছে।
