বন্দরের কল্যন্দী নয়ানগর এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আজমীর ওসমানের গেটিস পারভেজ আহমেদ ওরফে পিটু। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দুর্র্ধষ এই পিটু নিজেকে কখনো আওয়ামীলীগ কখনো বা জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসী আজমীর ওসমানের খলিফা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক আধিপত্য বিস্তার করতো।
আওয়ামীলীগের শাসনামলের শেষ সময়েও পিটু তার নিজ এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি রমজান প্রধানের পুত্র ছাত্রদল নেতা আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধা নাজমুল হাসান সজিবের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা না পেয়ে সে গত ৬ আগষ্ট সজিবের উপর হামলা চালায়। এর আগে সে সজিবের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নিতো। এ যাবত সে আজমীর ওসমানের ভয় দেখিয়ে এবং নাশকতা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে সজিবের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়া বিগত প্রায় ৪মাস পূর্বে জিওধরা এলাকার জনৈক আলতাফ হোসেনের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে গিয়ে ৫লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মারধর করে। একই এলাকায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে স্কুল শিক্ষক খোরশেদ আলমের স্ত্রী শম্ভুপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়ি থেকে রাতের আধারে ৫ হাজার ইট চুরি করে নিয়ে যায়।
২০২৩সালে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জামান প্রধানের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে গিয়ে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। জামান প্রধান চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পিটু ওই জায়গার উপর নির্মিত স্থাপনা ভেঙ্গে লুটে নেয়। এইরকম অসংখ্য অভিযোগ স্বত্ত্বেও পিটুর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন হস্তক্ষেপের খবর পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীদের অভিমত, পিটু একজন ছিঁচকে চাঁদাবাজ। বিভিন্ন সময়ে সে সুবিধা বুঝে জার্সি বদল করে। এতোদিন আজমীর ওসমানের খলিফা হয়ে কাজ করেছে এখন আবার বিএনপির সাইনবোর্ড লাগানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে সে নেতা হয়ে আবারও এলাকায় লুটপাটের রাজ্য গড়ে তোলার স্বপ্নে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী আজমীর ওসমানের খলিফা পিটুর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আশু কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করছে।