বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, আওয়ামীলীগের দোসরা রাতারাতি লেবাস পাল্টিয়ে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটে তালা মেরে চাঁদাবাজি করছে।
আমি বলতে চাই বিএনপি'র কোন ভাইয়েরা যদি তাদেরকে মিনিমাম কোন সহযোগিতা করেন তাহলে কিন্তু আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না হবে। কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
কোন অন্যায় করা যাবে না অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। যদি কেউ অন্যায় করতে চায় তাহলে তার হাত ভেঙ্গে দেন। বিএনপি কোন অন্যায়কারী দল না। এটি কিন্তু আওয়ামী লীগ না। এ দল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও এদেশের বীর দেশনায়ক তারেক রহমানের দল। যা ইচ্ছা করা যাবে না কিন্তু ভাইয়েরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লজ্জা শরম নাই। ছিঃ ছিঃ হাসিনা লজ্জায় বাঁচি না। বিএনপি'র কোন নেতাকর্মী কোন ব্যবসায়ী কিংবা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেন তাহলে আমরা কিন্তু তাদেরকে বিএনপির পরিবার হিসেবে মানবো না। আমরা কিন্তু তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। আমি হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই কেউ কিন্তু এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না।
বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আওতাধীন ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন। শনিবার (২৪ আগস্ট) বাদ জোহর আড়াইহাজার উপজেলাধীন ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মনোহরদীতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, এখানে আওয়ামী লীগের এক চিটার ছিল। তার নাম কি বাবু। অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেছিলে এখন কোথায় সে। তার নেত্রীও পলাইছে সেও পলাইছে। সে তার নেতাকর্মীদের দিয়ে আড়াইহাজারের সাধারণ মানুষের উপর নিবিড় অত্যাচার চালিয়েছিল। তার অত্যাচারে আড়াইহাজারের মানুষ ভালো ছিল না।
এতদিন কিন্তু আপনেরা মুখ খুলে কোন কথা বলতে পারেননি। আজকে কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাধ্যমে আপনারও কিন্তু স্বাধীন হয়ে গেছেন। আড়াইহাজারবাসী আপনারা কিন্তু এখন স্বাধীন।
তিনি আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় তারা আমাদের ভাই। আমাদের মতে কোন ভেদাভেদ নাই। আমরা যেমন এদেশের নাগরিক আপনারা ঠিক একই ভাবে এদেশের নাগরিক। আপনারা নিজেদেরকে অসহায় মনে করবেন না। আমরা সকলে আড়াইহাজারে মিলে মিশে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করবো।
আগামী দূর্গা পূজা যাতে সুন্দর শান্তিময়ভাবে আপনারা করতে পারেন সেজন্য আমাদের সর্বত্র সহযোগিতা থাকবে। কেউ যদি কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির কিংবা তাদের উপরে কোন ধরনের অরজগতা করার চেষ্টা করেন তাদেরকে আমরা উপযুক্ত জবাব দিবো।
এসময়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এনামুল মোল্লার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সাবু,আড়াইহাজার উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম লাভলু, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ ডালিম, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন সাকিব, আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোবারক হোসেন, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির, সদস্য সচিব রিপন মিয়া, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক আবুল হোসেন, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিসান আহমেদ রুবেল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন ভূঁইয়া, আজিজুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
