সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান সহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল হোসেন মিজি নিহতের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়। বুধবার (২১ আগস্ট) নিহত আবুল হোসেন মিজির মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় শেখ হাসিনা, শামীম ওসমান ছাড়াও আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান কামাল, ওবায়দুল কাদের, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, আবু হাসনাত শহীদ বাদল, শাহ নিজাম, জানে আলম বিপ্লব, হুমায়ুন কবির মূধা, সামসুজ্জামান, আইয়ুব আলী মেম্বার, নাজমুল আলম সজল, সাফায়েত আলম সানি, ছানাউল্লাহ, নাছির উদ্দিন ওরফে টুন্ডা নাছির, এহসানুল হক নিপু, হাবিবুর রহমান রিয়াদ, তানভীর আহম্মেদ টিটু, কামরুল হাসান মুন্না, বান্টি, আশরাফুল ইসলাম রাফেল, শাহ জালাল, মতিউর রহমান মতি, রুহুল আমিন, ফজর আলী, খান মাসুদ, মোঃ পাবেল, বিটু, দেলোয়ার প্রধান, আব্দুস সালাম, কোরবান, আলী রেজা উজ্জল, সাইফুল্লাহ বাদল, শওকত আলী, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ শাহিন রাজু, আব্দুল জলিল, আলিম শেখ, আজমত আলী, মোঃ রিফাত, মীর সোহেল, শ্যামল, শুভ, হিমেল, এহসান উদিন আহম্মোদ, ফয়সাল, নির্ঝর দাস, টিপু সুলতান, রামু সাহা, মোঃ ছানি, ওসমান গনি, মােঃ বিল্লাল হােসেন, মামুনুর রশিদ, মমিনুল, গােলাম সারোয়ার সবুজ, লাভলু, দুলাল প্রধান, সৌরভ, সুমন, জনি, সানি, মোঃ শামীম, সােহেল, হৃদয়, বাবুল প্রধান, খবির প্রধান, মনােয়ার হােসেন, ড্রেজার রাজু, মিয়া বাবু, সানাউল্লা, মোঃ লিটন, আনোয়ার হােসেন আনু, নয়ন, শাহাদাৎসহ ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০/২০০ জনজেনকে আসামি করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ৫ আগস্ট শহরের মিশনপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ আবুল হাসান স্বজন এর মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানা, গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে মাছ বিক্রেতা মিলন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় ১৮ আগষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, ২০ জুলাই সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরিবহন শ্রমিক জনি নিহতের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ও রুপগঞ্জের চনপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণীর ছাত্র রোমান মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় ২১ আগষ্ট রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়।