দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তৃণমূল রাজনীতির দৃশ্যপট আমূল পরিবর্তন হচ্ছে। দেশের সর্বত্র স্থানে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে রাজনৈতিক মাঠ ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে বন্দরে মহাজোটের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে বাড়িঘর ছাড়া বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা ওইদিন রাত থেকে নিজ নিজ এলাকায় আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে রাজনীতির মাঠে তার বিচরণ দেখা গেছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট বিকাল থেকে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এমনকি জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন উপজেলার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপন করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দর উপজেলার আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে, আমাদেরকে একা ফেলে রেখে আমাদের নেত্রী এভাবে পালিয়ে যাবেন তা স্বপ্নেও ভাবিনি। তিনি যদি আটক থাকতেন আজ আমাদের এ চরম দুর্দশা দেখতে হতো না।
নিজ নিজ এলাকার নেতাদের পালিয়ে যেতে দেখে অনেক কর্মী সমর্থকরাও পালিয়েছে। যার কারনে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নসহ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ শূন্য হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে সরকার পতনের সাথে সাথে আওয়ামীলীগের রসানলে শিকার বিএনপির জামায়াতরা স্ব স্ব এলাকায় ফিরে আসছে।
জানাগেছে, বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ- সভাপতি মোস্তাকুর রহমান, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সাহাদুল্লাহ মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বহু নেতাকর্মী আওয়ামীলীগ শাসনামলে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হয়ে কারাবরনসহ এলাকা ছাড়া হয়েছে। বহু বছর পর বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীরা বাড়ি ফিরে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহন করছে।