বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগে প্রশ্রয় দেওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে তাদেরকে আর প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আপনারা কি বাবুকে ভয় পান।
কাকে ভয় পাবেন ওর ওস্তাদ হাসিনা তো দেশ ছাইড়া পালিয়ে গেছে। তাহলে আপনাদের ভয়টা কোথায়। কর্মসূচি চলছে কর্মসূচি চলবে। আজ থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত যাদেরকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে না পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবিতে দু’দিনের কর্মসূচি প্রথম দিনে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন।
বুধবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে আড়াইহাজার উপজেলায় এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচি শেষে মিছিল বের করা হয়।
তিনি বলেন, শোনেন এদেশের মানুষ- ছাত্রসমাজ এই খুনি হাসিনা দ্বারা যে অত্যাচারিত হয়েছে কিন্তু আপনারা দেখেছেন। কিভাবে মানুষকে নির্মূল ভাবে হত্যা করেছে আপনারা দেখেছেন। আমি শুনলাম এই স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ তারা কিন্তু থামে নাই। আজকের সকালে নাকি আমাদের কালাপাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি সিদ্দিক ভাইয়ের ভাতিজা লাশ পাওয়া গেছে যাত্রাবাড়ী থেকে। সে কিন্তু বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে ছিল।
আমাদেরকে বুঝতে হবে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার কিন্তু এখনো থামেনি। আপনারা আড়াইহাজারে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। আপনারা কি শক্ত অবস্থানে থাকবেন নাকি ফাঁকিবাজি করবেন। যে ফাঁকিবাজি করবেন দলের স্বার্থে কাউকে চিনার আর সুযোগ নাই। আচ্ছা যে দলের নেত্রী পলায় গেছে সে দলের নেতাকর্মীদের কি এখনো লজ্জা শরম নাই।
অবশ্যই আওয়ামী লীগের লজ্জা শরম বলতে কিছুই নাই তাদের লজ্জা শরম কমই। কথা বলার সময় বড় বড় কথা বলে কিন্তু লজ্জা শরম বলতে কিছুই নাই। শুনেন হাসিনা কোথায় গেছে পলায়ে গেছে ছিঃ ছিঃ হাসিনা লজ্জায় বাচিনা। হাসিনা তো ভাগছে আওয়ামী লীগের শেষ কইরা দিয়া গেছে। আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের একটা চোর আছিল ওই গেছে, ওই নাকি বোরকা পইরা পলাইয়া গেছে।
বক্তব্য সময় বড় বড় বয়ান দিয়েছিল এখন চোরের মতন পলায় গেছে। বিগত ১৭ বছর কিন্তু আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে রাজপথে ছিলাম। দেশেই ছিলাম আমরা কিন্তু পালাইয়া যাই নাই। সৎ সাহস তো কোন কিছুই নাই। অন্যায় করতে করতে জুড়িতে কোন কিছুই নাই। পলাইয়া বাইচ্চা গেছে নাইলেই মানুষ তারে পাড়াইয়া মাইরা লাইত এবং তাঁর সঠিক বিচার করতো।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই দেশনায়ক তারেক রহমানের সৈনিক আমরা কাউকে ভয় পাই না। তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে। তারেক রহমান আসছে রাজপথ কাঁপছে। রাজপথ কেন কাঁপছে জানেন জনগণের জন্য কারণ এদেশের জনগণ তারেক রহমানের জন্য অপেক্ষা করছেন।
তখন তাদের পছন্দের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান এদেশের মাটিতে ফিরে আসবেন। তাকে এক পলক দেখার জন্য এবং তার মুখের কথা শোনার জন্যই দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ঠিক কিনা ভাইয়েরা। ইনশাল্লাহ বীরের বেশে তারেক রহমান এই দেশে ফিরে আসবে।
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদের সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সাবু,আড়াইহাজার উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, এড. সিদ্দিকুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন ভূঁইয়া, মাসুম শিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম লাভলু, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপি'র সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ ডালিম, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদক ওসমান গনি, সহ- প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিশন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক খাজা মাইনুদ্দীন, উচিৎপুরা ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি এড. আনোয়ার হোসেন রানা, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. নাসির, সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. মনির হোসেন, সাতগ্ৰাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আহসান উল্লাহ, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম, আড়াইহাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন সাকিব, আড়াইহাজার উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোবারক হোসাইন, আড়াইহাজার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদ রানা, গোপালদী পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুমন মিয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।