গত ৫ আগষ্ট সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডস্থ বন্দর শাহীমসজিদ খালপাড় এলাকায় বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন মিয়ার বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাঙ্গচুর ও তার পুত্র সাংবাদিক শেখ আরিফের অফিস কার্যালয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চরমুনাই গ্রুপের নুরহোসেন বাহিনী বিরুদ্ধে। ৫ দিন আত্বগোপনে থেকে পৈশাচিক হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনার কথা গনমাধ্যমকে জানায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে শেখ হাসিনা সরকারের বিরোদ্ধে গনঅভ্যুথ্যানের ডাক দিলে সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। আর সেই সুযোগে চরমুনাই সসমর্থিত ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ সসভাপতি নুরহোসেনের নেতৃত্বে বুলবুল, কালুসহ শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্রসহ বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম মাষ্টারের বসত বাড়িতে গেইট ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে পৈশাচিক হামলা ও লুটপাট করে।
এ সময় হামলাকারীরা বাড়ির ৪টি সিসি ক্যামেরা, দুটি কম্পিউটার, দুটি ট্যাব, দুটি এলইডি টিভি, একটি ল্যাবটব, ৪ ভরি স্বর্নালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, পসপোর্ট, আলমারি, এয়ারড্রপ, বৈদ্যুতিক চুলা, রাইস কুকার, ঘড়ি, দুটি ফ্রিজসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লুটপাট ও ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে।
এছাড়াও এর আগে নুর হোসেনের নেতৃত্বে বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম মাষ্টারের বড় ছেলে সাংবাদিক শেখ আরিফের অফিসে আগুন দেওয়া হয়। এমন হামলা হওয়ার আশংকা টের পেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার জীবন বাচাতে অন্যত্র আত্বগোপনে চলে যায়।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সুত্র জানায় ,ছাত্র আন্দোলনের গনঅভ্যথ্যানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পরই চারিদিকে হামলা ও নাশকতা শুরু হয়। তখন আমাদের বাড়িতে হামলা হবে এমন আশংকায় আমার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম মাষ্টার পরিবারের সবাইকে জীবন বাচাতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়। এরপরই হামলা হয়। আমার অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। অপরাধ আমার পরিবারের লোক আ'লীগ করে।
এ ব্যাপারে বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন।