বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় কাউন্সিলর কার্যালয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করেছে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা। গত ৫ আগস্ট (সোমবার) রাত পৌণে ১০টায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা জানান, পূর্বে আমার ওয়ার্ডে একটি রাস্তা নির্মাণ কাজের সময় দেলোয়ার হোসেন খোকন কাজে বাধা দেয় এবং নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে। এ বিষয়ে আমি খোকনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সেই আক্রোশ থেকেই সে আমার কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে আমার ধারণা। এছাড়া সে আমার ব্যবসায়ের মালামাল লুটের জন্যও রাতের আধারে চেষ্টা করেছিল।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, আমরা কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে যে সকল সেবা পেয়ে আসছিলাম, তা এখন বিঘ্নিত। আমার এখন কোথায় যাবো? হামলাকারীদের এমন আক্রমণাত্বক কর্মকান্ড বন্ধ করতে দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ জরুরী বলে দাবি এলাকাবাসীর।
কাউন্সিলর কার্যালয়ে হামলার পর কাউন্সিলর রুহুল আমিন তার ফেসবুক আইডিতে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, দলমত নির্বিশেষে সকল জনগণকে সমানভাবে সার্ভিস দেওয়া হয়েছে ১৩ বছর ধরে। এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছি জনস্বার্থে। কাজ করতে গিয়ে হয়তো দু-একটা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতার সাথে কঠোর আচরণ করতে হয়েছে।
এখন দুষ্কৃতিকারীরা সুযোগ পেয়ে জনগণের সেবার জায়গাটা ধ্বংস করল। আমি খারাপ হলে আমার উপর হামলা হতে পারে, জনগণের সম্পদের উপর কেন হামলা? যারা হামলা করেছে তারাও এখান থেকে সুবিধা নিয়েছে। যেহেতু ভালো কাজ করেছি সব সময়, তাই মনে বিশ্বাস ও জোর আছে সন্ত্রাসীরা যাই করুক না কেন, ভালো মানুষের সংখ্যা আমার পাশেই আছে। অফিস ভাঙ্গার বিচারটা ৮ নং ওয়ার্ড বাসীর কাছেই দিলাম।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, শেখ হাসিনার পতন ও পদত্যাগের পর অনেক জায়গায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। আমি ও আমার দলের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।