শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় ভাংচুর লুট, চুরি, ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা । এতে করে নিরাপত্তার জন্য কাজ করতে পারছেন না পুলিশ।
এদিকে পুলিশের কার্যক্রম না থাকায় চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ বাড়ার আশঙ্কায় আছেন এলাকাবাসী। নিজেদেরই সমাধান করতে হচ্ছে সমস্যার। এমনকি মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করার পর পাঁচ ডাকাতকে গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) দিনগত রাত ২ টায় হঠাৎ সিদ্ধিরগঞ্জের বেশকিছু এলাকার মসজিদের মাইকিং করা হয় এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে বাড়ির সকল পুরুষ লোক বাসা থেকে বের হয়ে ডাকতদের থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করুন।
তারপর একে একে সবাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলে ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে ধরতে পারে এলাকাবাসী। পুলিশ না থাকায় তাদের উত্তমমধ্যম দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
শিমরাইল এলাকার বাসের উদ্দিন বলেন, একটি ট্রাকে করে ১৫ জন ডাকাত বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে ডাকাতি করতে করতে আসে আমাদের এইদিকে তখন এলাকার কয়েকজন খবর পেয়ে মসজিদে ফোন করলে হুজুর মাইকিং করে। তাৎক্ষনিক এলাকাবাসী বের হয়ে আসলে আমরা এলাকার বাকী বাড়ি গুলো বাঁচাতে পারি।
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, রাতে ডাকাতের কথা মাইকিং করলে আমরা সকলে বের হয়ে আসি। তখন ৫ ডাকাত ধরতে পারলেও অন্যরাও পালিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ না থাকায় আমরা উত্তমমধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেই।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের সকল কাজ এখন বন্ধ আছে। জনগণকে সেবা দেওয়ার মত কোনো অবস্থানেই নেই আমরা। আমাদের নিজের নিরাপত্তা এখন আমরা দিতে পারছিনা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের থানায় হামল, ভাংচুর লুট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে।