নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি মাদরাসার এতিমখানা ভবনের উদ্বোধন ও পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে খাবার নিতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ অন্তত ১০জন হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অভিভাবক মো রাসেল, মোশারফ, খালেদা আক্তার, শিক্ষার্থী রুবাইদা, শামসুন্নাহার, সৈয়দা জাফরিন, সামিয়া, সুমাইয়া, আব্দুর রহমান ও আলীর নাম জানা গেছে। তারা বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতাল ক্লিনিক ও বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে নব নির্মিত নবীগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার চার তলা ভবন ও কিরাত প্রতিযোগিতার পুরুষ্কার বিতরন অনুষ্ঠান শেষে খাবার বিতরণকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী রুবাইদার অভিভাবক জানান মাদরাসার শিক্ষকরা সেই সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আমাদের বসিয়ে রেখেছে। অনুষ্ঠানে না আসলে পরীক্ষা দিতে দিবেনা বলে হুমকি দিয়ে আমাদের এনেছে, এখন আমার মেয়েটা মানুষের ধাক্কা-ধাক্কি ও হুড়োহুড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। আমি নিজেও কথা বলতে পারছিনা।
এদিকে আরেক শিক্ষার্থী শামসুন্নাহারের অভিভাবক জানান আমার মেয়েকে নিয়ে সকাল থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না, আমার মনে হচ্ছিলো এটা একটি কেয়ামত, বর্তমানে আমার মেয়ে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করিয়েছি এখনো জ্ঞান ফিরে নাই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অটো রিক্সাযোগে কার্টুনে করে খাবার পাচার হলেও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা দাড়িয়ে আছে খাবারের জন্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার অধক্ষ্য মোজ্জাম্মেল হক সরাই কথা বলার পূর্বেই অত্র মাদরাসার শিক্ষক প্রতিনিধি বদরুল আলম জানান এমপি সাহেবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাড়ানোর জন্য কৌশল করে আমরা বলেছি। ১০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক আহত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মাদরাসার সভাপতি কাউন্সিলর আফজালকে একাধিকবার কল করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।