নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নীলাচল পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্টো ব- ১৫-২২৭০) এর চাপায় নন্দলাল দাস (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মিজমিজি মতিন সড়ক বসুন্ধরা কয়েল কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রী নন্দলাল দাস ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চড়লালপুর গ্রামের মৃত শুভাস চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি তার ব্যবসায়ীক অংশিদার সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকার হাসান ইমামের বাড়ির ভাড়াটিয়া সেকান্দরের বাসায় গত সোমবার রাতে বেড়াতে আসেন। তারা যৌথভাবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবসা করতেন।
সেকান্দার বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে রাজশাহী যাওয়ার জন্য নন্দ লাল দাস তার বাসায় আসেন। শনিবার সকাল ১০ টায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেন তারা। এ সময় নিহত নন্দ লাল দাস মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে বাসা থেকে বের হয়ে বাস চাপায় গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাইনবোর্ডস্থ প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যাণ্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে তাকে সেখানে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট রোডে নীলাচল পরিবহন চলাচল করলেও তাদের গাড়ী রাখার জন্য মহাসড়কের পাশে কোন জায়গা নেই। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নীলাচল পরিবহনের মালিক পক্ষ মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা দিয়ে মিজমিজি মতিন সড়ক এলাকায় একটি খালি জমিতে গাড়ীর ডিপো তৈরী করে ব্যবহার করে আসছে।
মহাসড়কে চলাচলকারী বাস মহল্লার চিপা গলি দিয়ে দিনে রাতে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করার কারণে এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থানীয়দের দাবী, নীলাচল পরিবহনের অবাধ চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-খাটো দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মহল্লা বাসী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা হলেও নীলাচল কর্তৃপক্ষ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতার প্রভাবে বীরদর্পে গাড়ীর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সে জন্যই নন্দলাল দাস স্বার্থলোভী মুনাফাখোরদের স্বার্থ হাসিলের বলি হয়েছেন। এই গাড়ীর ডিপোটি অপসারণে জেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
নিহতের চাচাতো ভাই হৃদয় বলেন, গ্রামের বাড়ি থেকে লোকজন আসলে আলোচনা করে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।