ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তেলের ড্রামগুলোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশের মসজিদ, বাসাবাড়ি, সংলগ্ন থানা ও আশেপাশের এলাকা কেঁপে উঠে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
এ সময় ট্রলারের ভেতরে থানা ৪ জনের মধ্যে ১ জন নদীতে লাফিয়ে পড়ে আহতবস্থায় পাড়ে উঠতে পারলেও বাকি ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে ট্রলার থেকে একজনের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিক কারও নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকেল ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ট্রলার থেকে এক শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে এ সংবাদ পেয় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম,ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম মিয়া।
জানাগেছে, ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সবগুলো তেলবাহী ড্রাম অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরিত হয়।
মেঘনা ডিপোর ডিএস জিয়াউর রহমান জানান, এই ট্রলারে করে তেল নিয়ে তারা বরিশাল মনপুরায় যাবে। কিন্ত দুপুরে রান্না করার সময় তেলা বাহী ট্রলারটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা পেট্রোল, ডিজেলের ড্রামগুলো বিস্ফোরিত হয়।
ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা ডিপোর সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। আমরা যতটুকু জেনেছি ট্রলারটিতে ডিজেল ও পেট্রোল লোড করা ছিল।
এসময় তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে ৪ জন শ্রমিক রান্না করছিল বলে শুনেছি। হয়তো সেখানে থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। একজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, অপর একজনের পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য ২ জনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করেছি।