নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ইটের দেয়াল দিয়ে নারী আইনজীবীর বাড়ির রাস্তা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায় এঘটনা।
এবিষয়ে সম্প্রতি ফতুল্লায় মডেল থানায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা আক্তার।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে ইটের রাস্তা তৈরী করে আইনজীবী ও তার বাড়ির ভাড়াটিয়া ৯টি পরিবার চলাচল করছে। সে রাস্তাটি সম্প্রতি প্রতিবেশীরা ইটের উচু দেয়াল করে বন্দ করে দেয়। এতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ বন্দ হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করলেও প্রতিবেশি মোফাজ্জল ও তার পরিবারের কেউ পাত্তা দেয়নি।
এতে আইনজীবী ও তার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের বাসায় আসা যাওয়া বন্দ হয়ে যায়। এরপর বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেন আইনজীবী ফারজানা।
এতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মোফাজ্জল ও তার পরিবারের লোকজনদের রাস্তা ছেড়ে দেয়াল নির্মান করার অনুরোধ করেন। তখন তারা পুলিশের অনুরোধ রাখেনি।
আইনজীবী ফারজানা আক্তার জানান, ৯বছর ধরে সড়ক নির্মান করে চলাচল করছি। এতোদিন কেউ জমির মালিকানা দাবী করে আমাদের চলাচলে বাধা দেয়নি। আমাদের বাড়ির সামনের প্রতিবেশিরাও একই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
অথচ তাদের কোন বাধা না দিয়ে আমাদের রাস্তায় দেয়াল নির্মান করে চলাচল বন্দ করে দিয়েছে। এতে আমাদের বাসার ভাড়াটিয়া ৯টি পরিবার তাৎক্ষনিক দেয়ালের উপর দিয়ে মই বেয়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
এবিষয়ে প্রতিবেশী মোফাজ্জল বলেন, দেয়াল নির্মান করা জমিটি আমার নয় আমার বোনের। এতো দিন খোলামেলা ছিল তাই জমির উপর দিয়ে অনেকেই রাস্তা বানিয়ে চলাচল করেছে।
আবার পাশের আরো কয়েকটি পরিবারের জন্য এ জমি থেকে কিছু অংশ রাস্তার জন্য দেয়া হয়েছে। এখন এ জমি থেকে আর কাউকে রাস্তা দেয়া হবেনা।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, যখন রাস্তা তৈরী করেছে তখন জমির মালিকানা দাবী করে বাধা দেয়ার প্রয়োজন ছিল।
মোফাজ্জল ও তার পরিবারের লোকজন তখন বাধা দেয়নি। ৯ বছর ধরে চলাচল করা রাস্তাটি এখন তাৎক্ষনিক বন্দ করে দেয়াটা অমানবিক। এবিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।