বন্দরে লতা হারবাল কোম্পানীতে কর্মরত গোলাম কিবরিয়া (৩০) কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নারী দিয়ে কল দিয়ে ডেকে এনে নির্জনস্থানে আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৪ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
ওই সময় পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের নগদ ৪ হাজার টাকা ও ১ টি মোবাইল সেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বন্দর থানার নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার পির মোহাম্মদের ছেলে সুমন(২৫), দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে আহমেদ হাসান (২৫), দাসেরগাও এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে জুনায়েদ (২১) ও নোয়াদ্দা জলিল মিয়ার ছেলে নাঈম (২৬)।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে বুধবার (১২ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২০(৬)২৪ তাং- ১২-৬-২৪ইং। ধারা- ১৪৩/ ৩৬৫/ ৩৪২/৩২৩/ ৩৮৫/ ৩৮৬/ ৫০৬/ ১১৪/ ৪১১ পেনাল কোড-১৮৬০।
গত মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে বন্দর থানার লক্ষনখোলা চায়না ফ্যাক্টরীর সামনে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, আমি লতা হারবাল কোম্পানীতে চাকুরী করি। নোয়াদ্দা এলাকার নাসরিনের সাথে আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মেসেঞ্জারে কথা হয়।
আমাকে তার সাথে দেখা করতে যেতে বলে। নাসরিনের কথামত আমি বন্দর লক্ষনখোলা চায়না ফ্যাক্টরীর সামনে পৌছাইলে নাসরিন আমাকে নিয়ে তারই সহযোগী নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার পির মোহাম্মদের ছেলে সুমন, দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে আহমেদ হাসান, দাসেরগাও এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে জুনায়েদ ও নোয়াদ্দা জলিল মিয়ার ছেলে নাঈমসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন অপহরনকারী কারীরা আমাকে জোরপূর্বক অপহরন করিয়া ধরে নিয়ে দাসেরগাঁ জামাল সাহেবের পুকুরপাড়ে নিয়ে ৪ঘন্টা আটক করে ডাসা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্নক জখম করে।
পরে নাসরিন আমার কাছ থেকে ২লাখ টাকা চাদা দাবী করে। আমার কাছে থাকা ৪হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে অপহরনকারীরা আমার মোবাইল থেকে আমার স্ত্রীকে ফোন করিয়া আমার কান্নাকাটির শব্দ শুনাইয়া আমার পিতার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা দাবী করে।
আমার পিতা অপহরনকারীরদের দেয়া বিভিন্ন নাম্বারে মোট ৬৬হাজার টাকা বিকাশে প্রদান করে।
পরে অপহরনকারীরা আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে লক্ষনখোলা মেইনরোডে ফেলে চলে যায়। আমি রাত ২টায় আহতাবস্থায় পুলিশের টহল গাড়ী দেখে সংকেত দিলে আমাকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করিয়া ৪জন আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়েছি। অপরাপর আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।