নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বন্দরে স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করল ইউপি সদস্য

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২০:১৭, ১৩ মে ২০২৪

বন্দরে স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করল ইউপি সদস্য

বন্দরে পান্নু নামে এক রাজমিস্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়ে স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তার নাম সফুরউদ্দিন।

তিনি বন্দর উপজেলার  ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য। সে মালিভিটা গ্রামের মৃত সংশর আলী চৌকিদারের ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর এক মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বন্দর উপজেলা জুড়ে তোলাপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানা পুলিশের কাছে বিচার না পেয়ে অবশেষে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর সফুরউদ্দিন  মেম্বারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইষ্ট টাউন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো সীমা আক্তার ও রাজমিস্ত্রী পান্নু মিয়া।

পারিবারিক কলহে স্ত্রীর দেওয়া একটি মামলায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ স্বামী পান্নু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার পর থেকে  সফুরউদ্দিন মেম্বারের সঙ্গে সীমা আক্তারের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

এ সম্পর্কে সফুরউদ্দিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগংরোড ওয়ার্কসপ মোর চার তলা বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতো। এছাড়াও কামতাল বিলে মৎস্য খামারে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে সফুরউদ্দিন মেম্বার।

ভুক্তভোগী সীমা আক্তারের স্বামী পান্নু মিয়া জানান,  কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ দিয়ে আমাকে  ধরে নেয়। পরে সফুরউদ্দিন মেম্বার ও আমার স্ত্রী মিলে আমাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। আমি জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত সীমা মেম্বারের সঙ্গে ছিলেন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক  ছিলো।

ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডবাসী জানান, মালিভিটা এলাকায় প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে অবশেষে বিয়ে করেন সফুরউদ্দিন মেম্বার।  প্রবাস জীবনের আয়রোজগার সব আত্মসাত করে সর্বশান্ত করেছে জাকির হোসেনকে।

সফুরউদ্দিন মেম্বার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে সীমা আক্তার। বর্তমানে সে বিদেশে রয়েছে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: