নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্ত্রী আত্নহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়েরের ৫ মাস পর মহানগর ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা আরিফ চৌধূরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আরিফ চৌধুরী (৩৮) বন্দর থানার দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার সাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারী দুপুরে বন্দর থানার ২৬৫/ উইলসন রোড কদমরসুল কলেজ পশ্চিম পাড়া আফতাবউদ্দিন ভাড়া বাড়িতে এ আত্নহত্যার ঘটনা ঘটে। অত্যহননকারী গৃহবধূ শান্তা ইসলাম (২২) বন্দর থানার ৭/১ কদম রসুল এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফ পাঠান জানান, গত ১ বছর পূর্বে বন্দর থানার দক্ষিন লক্ষনখোলাস্থ পাগলীর বাড়ী এলাকার সাহাবুদ্দিন চৌধুরীর আরিফ চৌধুরী সাথে একই থানার ৭/১ কদমরসুল কলেজ এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে শান্তা ইসলামের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী- স্ত্রী উভয় ২৬৫ উইলসন রোড কদমরসুল পশ্চিম পাড়া আফতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতো। বিয়ের পর থেকে যৌতুক লোভী স্বামী ছাত্রলীগ নেতা আরিফ চৌধূরী যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী শান্তা ইসলামকে নির্যাতন করতো।
ধারাবাহিক অমানষিক শারীরিক নির্যাতনের পর এক পর্যায়ে গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে গৃহবধূ শান্তা ইসলাম ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আরিফ চৌধূরী পলাতক ছিল ।
এ ব্যাপারে নিহতের মা নুরবানু বেগম বাদী হয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে স্বামীসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।