সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদ কমিটির উপদেষ্ঠা থেকে বহিস্কার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোতওয়াল্লি ও কমিটির কয়েকজন সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টি নেতা কাজী মহসিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।
এসময় উত্তেজিত মুসল্লিরা ধাওয়া করলে দুপক্ষে মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। শুক্রবার (৩ মে) জুম্মার নামাজ শেষে গোদনাইল তাঁতখানা বাউবাজার এলাকায় আল মদিনা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেল ৫ টায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: শামীম হাসান ও মোতওয়াল্লি মো: সেলিম ভূঁইয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে মহসিন ও তার বাহিনীর বিভিন্ন অন্যায় অপকর্ম তুলে ধরেন।
শামীম হাসান বলেন, বিভিন্ন সময় মসজিদের অনুদান আত্নসাত ও এলাকায় নানা অপকর্মে সঙ্গে জড়িত থাকায় মসজিদ কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা থেকে কাজী মহসিন ও সহ-সম্পাদক পদ থেকে তার ছোট ভাই কাজী ওয়াসিমকে বহিষ্কার করা হয়।
এতে ক্ষিপ্ত জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর মোতাওয়াল্লি সেলিম ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সদস্যকে মারধর করে মহসিন ও তার লোকজন।
মসজিদের মোতাওয়াল্লি মো: সেলিম ভূঁইয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় মসজিদ কমিটির সভায় আশালিন কথা বলার প্রতিবাদ করায় মহসিন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। সভাতেই তিনি আমাকে মারধর ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে আমি তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করি।
রাতের সভায় মহসিন ও তার ভাইকে কমিটি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তা জুম্মার নামাজের আগে সকল মুসল্লিদের জানিয়ে দেই। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হতেই মহসিন ও তার লোকজন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে।
তখন মুসল্লিরা এসে আমাকে রক্ষা করে হামলাকারীদের ধাওয়া করে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত মুসল্লিরা মহসিন ও তার লোকজনের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মহসিন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কমিটি থেকে বহিস্কার করা নিয়ে আমার কোন ক্ষোভ নেই। মসজিদের নলকুপ থেকে এলাকাবাসী পানি নেয়। এতে বাধা দেয় সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসান ও মোতওয়াল্লি সেলিম ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবারের রাতের সভায় আমি পানি নেওয়ার বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় তারা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এর জের ধরে শুক্রবার বাদ জুম্মা আমাকে ধাওয়া ও আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে তাদের লোকজন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রহুল আমিন মোল্লা বলেন, মসজিদ কমিটির দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিরোধ নিস্পত্তি করতে আগামী রোববার সকালে বৈঠক বসার দিন ঠিক করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, মসজিদ কমিটির দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি।