অপকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরে। ছিনতাই, জুয়া, চাঁদাবাজি চলছে দেদারছে। এসব হচ্ছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে।
এছাড়াও হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হককে মাসোহারা দিয়ে মহাসড়ক দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি, লেগুনা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক।
পুলিশ ম্যানেজ থাকায় এসব বাহন মহাসড়কে চলছে উল্টোভাবে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব বাহন আটকিয়ে ডাম্পিং করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করছে হাইওয়ে পুলিশ।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরে পরিবহন চাঁদাবাজি নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে পরিবহন সেক্টরে চলছে চাঁদাবাজি।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও মহাসড়কে নিশ্চিন্তে চলছে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত থ্রি-হুলার। এসব বাহন নিয়ন্ত্রন করছে একাধিক গ্রুপ। কেউ সিএনজি, কেউ অটোরিকশা, কেউ ইজিবাইক ও কেউ মিশুক নিয়ন্ত্রন করছে হাইওয়ে পুলিশকে মাসোহরা দিয়ে।
এসব ছোট বাহনগুলো হয়ে পড়েছে হাইওয়ে পুলিশের টাকার মেশিন। নিয়মিত মাসোহরা নিয়েও সিএনজি ও ইজিবাইক আটক করে ডাম্পিং বাণিজ্য করছে পুলিশ।
মাসোহারা দিতে দুএকদিন দেরি হলেই গাড়ি আটক করে ডাম্পিং করা হয়। পরে মাসোহারার টাকা দিয়ে অতিরিক্ত দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে ডাম্পিং থেকে গাড়ি বের করতে হয়।
জানা গেছে, কাঁচপুর স্ট্যান্ড থেকে হাইওয়ে থানা পর্যন্ত মহাসড়কে ফুটপাত দোকান বসিয়ে আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা চাঁদা। ফুটপাত চাঁদাবাজদের কাছ থেকে মাসোহারা পাচ্ছেন ওসি রেজাউল হক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন মালিক জানান,যেসব যাত্রীবাহী বাসের কাগজপত্র ঠিক নেই, রুটপারমিট নেই, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, গাড়ির ফিটনেস নেই, লক্কড়-ঝক্কড় এসব বাস বিভিন্ন পরিবহনের ব্যানারে চলছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে।
মসোহারা দিতে দেরি হলেও দেওয়া হয় মামলা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দিনে চলছে মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক। পুলিশকে মাসোহারা দেওয়ার কারণে ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলছে উল্টোভাবে। এতে মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাঁচপুর সেতু এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছিনতাইর ঘটনা। ছিনতাই প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সচেতন মহল।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার দুই আড়াইশ গজ দূরে প্রতিদিন ভোরে বসে জুয়ার আসর। অথচ পুলিশ নির্বিকার। হাইওয়ে পুলিশের উদাসিনতার কারণে মহাসড়কে অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক মাসোহারা দেওয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমারা তৎপর রয়েছি।
ব্যাটারিত চালিত বাহন আটক করে ডাম্পিং করছি। বহু চাঁদাবাজ আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। আমাদের এসব পুলিশি কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।