মামুন ডাকাত ও বাহাউদ্দিন
ডাকাতদের বাড়িতে পুলিশি অভিযানের জের ধরে ডাকাত মামুন ও তার দলের হামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জন জখম হয়েছে। আহতরা হলো সুমি আক্তার (২৫) ও তার স্বামী আল আমিন (২৮) ও ভাই আব্দুর রাজ্জাক (৩২)। স্থানীয়রা আহতদর উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।
ওই সময় হামলাকারিরা গৃহবধূ সুমি আক্তারকে শ্লীতাহানি করে কানে থাকা ৩ আনা ওজনের একটি দুল ও গলায় থাকা ১ ভরি ৩ আনা ওজনের একটি চেইন ছিনিয়ে নেয়। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বন্দর থানার সোনাচরাবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আহত গৃহবধূ সুমি আক্তার উল্লেখিত হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন দুপুরে বন্দরে কুখ্যাত মামুন ডাকাত,বাহাউদ্দিন, সোনিয়া ও সেলিনা বেগমকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার সোনাচরা এলাকার মৃত আকবর ডাকাতের ছেলে মামুন ডাকাতের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানাসহ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থানা পুলিশ মামুন ডাকাতকে গ্রেপ্তারের জন্য সোনাচরা এলাকায় অভিযান চালায়।
পুলিশি অভিযানের জের ধরে মামুন ডাকাত ও সন্ত্রাসী বাহাউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী সুমি আক্তার বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। ওই সময় সুমি আক্তার গালাগালি করতে নিষেধ করলে ওই সময় মামুন ডাকাত ও এলাকার সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও তার সন্ত্রাসী ছেলে বাহাউদ্দিন ও মেয়ে সোনিয়াসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গৃহবধূ সুমি আক্তার উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারীরা সুমি আক্তারকে পিটিয়ে ও শ্লীলতাহানি করে কানের দুল ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। গৃহবধূর চিৎকার শুনে তার স্বামী আল আমিন ও তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে উল্লেখিতরা তাদেরকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করে।