নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেভার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের অভিযান টের পেয়ে সাহেব আলী, রনি ও নুরনবী নামে ৩ ডাকাত পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এরআগে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত জামিলের নেতৃত্বে নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটিগ্রামস্থ শীতলক্ষ্য নদীর পাড়ে বন্ধকৃত মনোয়ার জুট মিলের সামনে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় ডাকাতদের হেফাজত থেকে দেশীয় অস্ত্র দুটি বড় ছোরা, দুটি বড় রামদা, একটি ছোট ছুরি, ভাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি রশি ও একটি পুরাতন গামছা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ৫ ডাকাত হলো- সিদ্ধিরগঞ্জ আঁটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিন গেসুর ছেলে ডাকাত সরদার রবিউল ইসলাম (৩২), মৃত বাচ্চু শেখ এর ছেলে মো. হাফিজ শেখ (২৩), মো. দেলোয়ারের ছেলে মো. ছেলে মো. মুসা (২১), মৃত আঃ জব্বার মুন্সির ছেলে মো. আজিজুল ইসলাম (২২) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আদনান যে আদু। পলাতক ৩ ডাকাত হলো- সাহেব আলী, রনি ও নুরনবী।
জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটিগ্রানস্থ শীতলক্ষ্য নদীর পাড়ে বন্ধকৃত মনোয়ার জুট মিলের সামনে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত জামিলের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান পিপিএম, এএসআই ইলিয়াস হোসেন, এএসআই মহসিন ও এএসআই সংকর দাস সংগীয় ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান ঢালিয়ে তাকাত চত্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ ডাকাত পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম প্রত্রিয়াধীন রয়েছে। এ ধরণের 'অভিযান অব্যাহত থাকমে।