বামে আয়োজক ইমরান দেওয়ান
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পবিত্র রমজান মাসে বাউল গানের নামে নারী শিল্পীদের দিয়ে রাতভর চলছে রমরমা গান। আর সেই গানের তালে তালে চলছে নারী, পুরুষ ও যুবক-যুবতীদের উন্মাতাল নৃত্য ও উন্মাদনা। এসব অশ্লীল উন্মাতাল নৃত্যে মাঝে মাঝে শিশুদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।
পবিত্র রমজান মাসে এমন অশ্লীলতায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বাউল গানের নামে এমন উন্মাতাল গান ও নাচের ভিডিও এখন ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যায় উন্মাতাল নৃত্যের সময় নারীদের গায়ে টাকা ছুড়ে মারার দৃশ্যও।
তবে এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও পুলিশ বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে এরকম অশ্লীলতা বন্ধে তারা তৎপর হচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র জানায়। এ নিয়ে যেকোনো সময় বড় ধরণের সংঘাতও ঘটতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
জানা যায়, ইমরান দেওয়ান নামে একব্যাক্তি সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রো একটিভ হাসপাতালে ঠিক উল্টোপাশে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিতি নামে একটি আস্তানা গড়ে তুলেন।
দীর্ঘদিন থেকে এ আস্তানাটি থানা পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ও প্রভাবশালী ম্যানেজ করে রাত ১১টার পর বাউল গানের নামে নারী শিল্পীরা গানের সাথে অশ্লীলভাবে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে আসছে।
এসব দেখতে স্থানীয় যুব সমাজসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মহল ছাড়াও দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। এখানে গানের পাশাপাশি প্রকাশ্যে গাজা ও নেশাদ্রব্য সেবন করে নানা বয়সের লোকজন ও অপরাধীরা।
এদিকে নারীদের দিয়ে এ সব নানা অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গিমায় গান পরিবেশন করে আসর জমিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা কৌশলে টাকাকড়ি হাতিয়ে নিচ্ছে এর আয়োজক।
পবিত্র রমজান মাসে বাউল গানের নামে তাদের এমন উন্মাতাল আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মাইকের উচ্চ শব্দ বন্ধ করার অনুরোধ করলেও আয়োজকরা তা গুরুত্বই দেননি। এমনকি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে একাধিক অভিযোগ দিলেও রহস্যজনকভাবে নিরব ভুমিকা পালন করছে পুলিশ।
সারাদিন রোজা রেখে এবাদতের পর একটু বিশ্রামের সময় ওখানকার মাইক ও সাউন্ড বক্সের উচ্চ ও বিকট শব্দে এলাকার শিশু, বৃদ্ধ অসুস্থ লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহান।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. সাইজুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জানান, আমরা পবিত্র এই রমজান মাসে বাউল গানের নামে কখনো অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা প্রশ্রয় দিতে পারি না। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সোচ্চার হচ্ছেন। আইনশৃংখলা বাহিনী র্যাব-পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিলে এলাকাবাসী তাদের এই অশ্লীল গান ও উম্মদনা বন্ধে ওই আস্তানা গুড়িয়ে দিবেন।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আজই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।