বন্দরে ৫ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে ১ সন্তানের জননী পিংকি আক্তার (২৯)কে এসিড নিক্ষেপ করে জ্বলসে দেওয়ার মামলায় যৌতুক লোভী স্বামী রাশেদুল ইসলাম ওরফে রিংকু (৩৪)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত রাশেদুল ইসলাম রিংকু বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের দক্ষিন খালপাড় মনারবাড়ী এলাকার মুনসুর আলম মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতকে বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এরআগে মঙ্গলবার দিবাগতরাতে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মনারবাড়ী দক্ষিণ খালপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে গত ১১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে গত ১৩ মার্চ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্রনালে একটি পিটিশন দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালতে নির্দেশে গত ১৯ মার্চ রাত সোয়া ৯টায় পাষান্ড স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি ও দেবরকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৭(৩)২৪।
মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ১০ বছর পূর্বে ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ এলাকার আনোয়ার হোসেন আনু মিয়ার মেয়ে পিংকি আক্তারের সাথে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মনারবাড়ী এলাকার মুনসুর আলমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম রিংকু ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ১ সন্তানের জননী পিতা আনোয়ার হোসেন ছেলে পক্ষকে ব্যবসার এঙংজন্য নগদ ২ লাখ টাকা, ২ ভড়ি স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন আসভাবপত্র প্রদান করেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ মার্চ যৌতুক লোভী স্বামী রাশেদুল ইসলাম রিংকু, শ্বশুর মুনসুর আলম, শ্বাশুড়ি শাহানুর বেগম ও দেবর রনি হাওলাদার উল্লেখিত গৃহবধূর নিকট ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
ওই সময় ১ সন্তানের জননী যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই সময় উল্লেখিতরা ওই গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্য বেদম ভাবে পিটিয়ে সন্তানসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়।
পরে গত ১১ মার্চ দুপুর ১টায় নির্যাতিত গৃহবধূর স্বজনরা গৃহবধূ ও তার সন্তানকে তার শ্বশুড় বাড়িতে নিয়ে গেলে ওই পাষান্ড যৌতুক লোভী স্বামী রাশেদুল ইসলাম রিংকু ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাটারি এসিড নিক্ষেপ করে বাম হাত জ্বলসে দেয়।