নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ৩ জন উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নিরীহ ৪ ব্যক্তিকে ধরে ডিবি কার্যলয়ে নিয়ে আটকে রেখে মামলার ভয় দেখিয়ে মোট অংকের টাকা উৎকোচ আদায় করে ৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন বলে ভূক্তভোগীরা জানায়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বন্দর এলাকার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শাওন জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান,শামিম ও আশিক এমরান গত ৪ মার্চ রাতে মাটি কাটার সময় বন্দরের লক্ষণখোলা সোম্বাইরা বাজার এলাকা থেকে রাহাত, শহিদুল, ইমরান ও আমাকে আটক করেন। পরে নাম্বার বিহীন একটি হাইজ গাড়িতে উঠিয়ে ঘন্টাখানেক বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করেন।
এরপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে ২ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় দেখায়। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক টেন্ডারের মাধ্যমে মাটি কাটার অনুমোদিত কাগজপত্র দেখানোর পরও তারা টাকা দাবিতে অনর থাকেন।
নিরুপায় হয়ে মিথ্যা মামলার ভয়ে ওই ৩ জন উপ-পরিদর্শককে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেই। তারপরও আমাদেরকে ফৌজধারী কার্যবিধির ৫১ ধারায় মামলা দিয়ে ৫ মার্চ দুপূরে আদালতে প্রেরণ করেন। ওই দিনই আমরা আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উৎকোচ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ডিবির উপ-পরিদর্শক শামিম ও আশিক এমরান বলেন, মাটি নিয়ে দুপক্ষে মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে আটক করি।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার (বন্দর-সোনারগাওঁ) এলাকার পরিদর্শক আব্দুল আল মামুন বলেন, সরকারি মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার সময় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন,আমি ছুটিতে আছি বিষয়টি আমার জানা নেই । আটকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।