বন্দরে মধ্যবয়সী নারী দিপালী রানী দাস (৩৮) হত্যা মামলার সন্নিগ্ধ আসামী বাড়ি কেয়ারটেকার ফরিদা বেগম (৩৭) ও তার ছেলে সিয়াম (২০)কে ২ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো ফরিদা বেগম বন্দর লের্জাস এলাকার জনৈক কাউছার মিয়ার বাড়ি কেয়ারটেকার ও উক্ত এলাকার ফরিদ মিয়ার স্ত্রী ও সিয়াম (২০) তার ছেলে ।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ
করা হয়। গত শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে আদলত থেকে উল্লেখিতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকে রিমান্ডে আনে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১১টা হইতে গত শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর লের্জাস এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই রিপন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গত শুক্রবার (১র্মাচ) দুপুরে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং - ৩(৩)২৪ ধারা- ৩০৭/ ৩২৬/ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে ও নিহতের মেয়ে মলি জানান, তারা চার বোন। দুই বোন বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পাশের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান বাজছিল। মায়ের অনুমতি নিয়ে বোনকে নিয়ে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে যান।
পরে সেখান থেকে এসে দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মাকে গার্মেন্টসে যাবার জন্য ডাকতে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। পাশেই তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
মলি আরো জানায়, ফরিদার সাথে গ্যাসের চুলার রান্না নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল তাদের। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই তার মাকে হত্যা ও বাবাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ি উপ- পরিদর্শক শামীম আল মামুন জানান, মামলার সন্নিগ্ধ আসামীদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদেরকে পুনরায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত শ্যামা চন্দ্র ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।