নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে ৬ তলা থেকে পড়ে রবিউল ইসলাম রবি (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন অভিযান পরিচালনাকারী ডিবি পুলিশ।
শনিবার রাত ৮ টায় সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর জাকির খানের ভবনের মতিন খানের প্লটে এঘটনা ঘটে। আহত রবিউল ইসলামকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। সে কাঁচপুর এলাকার মৃত বশির খানের ছেলে। তিনি একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক রহুল আমিন সঙ্গীয় ফোর্স ও সোর্স নয়ন, ইব্রাহীম, জাহাঙ্গীর ও ইলিয়াছকে নিয়ে রাত ৮ টার দিকে রবিউল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালায়। এসময় রবিউল ওই ভবনের ৬ তলায় অবস্থান করছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ভবনের ৬ ছাদে চলে যান। পুলিশ ও সোর্সরা ছাদে গেলে তিনি পাইপ দিয়ে নিচে নামতে গিয়ে হাত পঁছকে পড়ে যান।
রবিউল ইসলামের স্ত্রী ইয়াছমিন বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তাকে গ্রেপ্তার করে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে ডিবি পুলিশ ও সোর্সরা বাসায় হানা দেয়। তখন আমার স্বামী ভয়ে ভবনের ছাদে চলে যায়। পুলিশ আমার স্বামী বাসায় না পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে ঘরে থাকা ২৯ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
আমার স্বামী ছাদে আছে জানতে পেরে পুলিশ সেখানে যায়। তখন পুলিশের ভয়ে আমার স্বামী চাঁদের পাইপ দিয়ে নিচে নামতে গিয়ে হাত ফসকে নিচে পড়ে যায়। আমার স্বামী ছাদ থেকে পড়ে আহত হলে পুলিশ ও সোর্সরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
জানতে চাইলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক রহুল আমিন বলেন, সুনির্দিষ্ট একটি তথ্যের ভিত্তিতে রবিউল ইসলামকে আটক করতে তার বাসায় গিয়ে ছিলাম। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ভবনের ছাদে চলে যান।
আমরা ছাদে গেলে তিনি পাইপ দিয়ে নিচে নেমে পালাতে গিয়ে পড়ে আহত হয়। বাসা থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।