বন্দরে ইটভাটায় অভিযানের পর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে ইটের দাম। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানের প্রতি হাজারে ইটের দাম বেড়েছে ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণকারীরা।
অভিযানকালে আদায় করা জরিমানার টাকা পুষিয়ে নিতেই ইটের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা এ দিকে অভিযান শেষ হওয়ার এখন পুরো দমে চলছে ইটভাটাগুলো।
বুধবার বন্দরে মুছাপুর ইউনিয়নের ফনকুল ও শাসনেরবাগ এলাকায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ সময় কৃষি জমি ধ্বংস করে গড়ে উঠা মেসার্স থ্রি স্টার ব্রিক, নারায়ণগঞ্জ ব্রিকস, আল মদিনা ব্রিকসসহ ১৯টি ইটভাটার মালিককে পরিবেশ দূষণ,জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয় হাজী অটোব্রিকস, বিসমিল্লাহ ব্রিকস ও আল মক্কা ব্রিকসের বিভিন্ন স্থাপনা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী তামজিদ আহমেদ।
নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মুজাহিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ মিস্ত্রী আক্তার জানান, দুই দিন আগে যে সকল ইট ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো।
তা এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায়। ইটের দাম বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ কাজে ধীর গতি চলে এসেছে।
শাসনের বাগ এলাকার কৃষক জামির আলী জানান, তিনি আগে জমিতে ইরি ধানসহ নানা রকম ফসল বুনতেন। এখন জমির পাশেই ইটভাটা হওয়ায় কোনো ফসলই হচ্ছে না। ইটবাটার মালিক চাষের জমি ধ্বংস কওে ফেলেছে।
এলাকাবাসী জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান ছিল লোক দেখানো আইওয়াশ। এখন সবগুলো ইটভাটাই পুরোপুরি চলছে।