সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৫নং ওয়ার্ডে সাইলো এলাকার আফ্রিকা প্রবাসী মোক্তার হোসেনের স্ত্রী শরিফা জাহান ঝর্ণা তার শ্বশুর বাড়ির স্বজনদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের করে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঝর্ণার বেপরোয়া চলাফেরা ও বাইরে অবাধ যাতায়াতের বিষয়ে পারিবারিকভাবে বাধা দিলে কথা কাটাকাটির জের ধরে হিংসাপরায়ণ হয়ে প্রতিশোধমূলক এমন ঘৃণিত কাজ মামলা দিয়েছেন বলে দাবি করছেন বৃদ্ধ শ^শুর ও তার স্বজনরা।
পারিবারিক এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন সামাজিকভাবে বিচার-শালিসের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। ঝর্ণ কাউকে মানে নাই, কারও কোনা কথাও শুনতে নারাজ। এমন ঘৃণিত ঘটনায় বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের আলোচনা-সমালোচনা চলছে এলাকার পাড়া-মহল্লায়।
এছাড়াও প্রবাসী মাহবুব আলমসহ তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী মোক্তার হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণার সাথে রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন প্রভাবশালি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে গভীর সম্পর্ক। এর প্রভাবেই তিনি শ^শুর বাড়ির স্বজনদের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া ও ডেম কেয়ার উচ্ছৃঙ্গল জীবন যাপন করছেন।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকার আব্দুল মোতালিব, তার দুই ছেলে মাহবুব আলম ও ছোট ছেলে আফজাল হোসেন, মেয়ে মোকসেদা আক্তারের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে মামলাটি দায়ের করে আব্দুল মোতালেবের বড় ছেলে সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী মোক্তার হোসেনের স্ত্রী শরিফা জাহান ঝর্ণা।
সে একই এলাকার আবুল কালামের মেয়ে। উক্ত মামলায় দীর্ঘদিন জামিনে থেকে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন বিবাদীরা।
গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। তবে বর্তমানে আব্দুল মোতালেবের জামিন হলেও তার ছেলে আফজাল হোসেন এখনো কারাগারে রয়েছে।
এরআগে ঝর্ণা থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিচার-শালিসের মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ দিলেও সে সমাজ ও পরিবারের কারো কথায় কর্ণপাত না করে আদালতে গিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা দায়ের করেন।
বৃদ্ধ আব্দুল মোতালেবের স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, বড় ছেলে মোক্তার আমাদের সংসার খরচ তিন হাজার করে টাকা দেয়। তাও প্রতিমাসে দেয় না। দুই-তিন মাস পর পর দেয়।
তাছাড়া ঝর্ণার চলাফেরা নিয়েও আপত্তি জানালে এবং ছেলের দেওয়া সংসার খরচের বিষয়ে আমার স্বামী জিজ্ঞেস করাতে ছেলের বউয়ের সাথে শ্বশুরের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরেই সে মামলা দেয়।
এদিকে ঝর্ণার শ্বশুর বাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে মামলা প্রত্যাহার করে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আফজাল হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন ।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধ আব্দুল মোতালিব, তার ছেলে ও স্বজনরা ঝর্নার দায়ের করা বানোয়াট মামলাটির সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ তদন্ত করে তাদেরকে হয়রানি থেকে মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।