নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে পেঁয়াজ রসুনের ব্যবসা করতেন ওসমান গনি (২৫)।
রাস্তার পাশে দোকানদারি করায় ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশের ড্রাইভার রোমানের ধাওয়া খেয়ে মার্কেটের পিছনে পালিয়ে গেলেও রক্ষা পাননি ওসমান গনি।
পুলিশের ড্রাইভার রোমান ব্যবসায়ী ওসমান গনিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আহত ওসমান গনি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশীমন গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাল ইউনিয়নের আমলাব এলাকার কাদির মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি ৩ বছরের বেশি সময় ধরে ভুলতা এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের ড্রাইভার রোমান বলেন, ‘কবে কাকে পিটিয়েছি আর কীভাবে তাঁর হাত ভেঙেছে এমন কোনো ঘটনা আমার মনে পড়ে না। তা ছাড়া ওসমান গনি নামে কোনো ব্যবসায়ীকে আমি চিনি না।
তবে ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা না থাকলেও কোনো ব্যক্তি এমন অভিযোগ করে থাকলে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।’
ওসমান গনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ভুলতা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পেঁয়াজ রসুনের ব্যবসা করার সময় হঠাৎ পুলিশের ড্রাইভার রোমান গাড়ি থেকে নেমে এসে ফুটপাত ব্যবসায়ীদেও ধাওয়া দেয়।
পরে ধাওয়া খেয়ে ওসমান গনি মার্কেটের পিছনে পালিয়ে গেলে, সেখানে পুলিশের ড্রাইভার রোমান তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
খবর পেয়ে ওসমানগনির পিতা নয়ন মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং অচেতন অবস্থায় তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে পরীক্ষা করে দেখা যায়, পুলিশের লাঠির আঘাতে ওসমান গনির ডান হাতের একটি হাড় ভেঙে গেছে। এরপর তাঁরা নির্যাতনের প্রতিকার পেতে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।