স্কুল শিক্ষার্থীকে শ্লিতাহানির ঘটনায় কানধরে উঠবস করা সেই মিলনের বিরুদ্ধে এবার বিদেশ থেকে স্বর্ন এনে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা গেইটে ঘটেছে মারামারি মতো ঘটনা। যা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
তবুও মিলন স্বর্ন ফেরৎ দেয়নি দুবাই প্রবাসীর। স্থানীয় মহলসহ থানা পুলিশ একাধিকবার বৈঠক করেও কোন সুরাহা করতে পারেনি।
জানা যায়, মহাধূর্ত মিলন দুবাই গিয়েছিলো। সেখানে থেকে দেশে ফিরে আসার সময় ঢাকা জেলার সূত্রাপুর থানার দুবাই প্রবাসী খোকন গাজী(৪৮) মিলনের নিকট নিজ পরিবারের জন্য বেশ কিছু কসমেটিক্স, ব্যবহৃত জিনিষপত্র সহ ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার দেয়।
মিলন দেশে ফিরে এলে দুবাই প্রবাসীর ছোট ভাই খোরশেদ গাজী (৩৮) ৭ জানুয়ারী ফতুল্লা রেলস্টেশনে এসে তার ভাইয়ের পাঠানো দেওয়া মালামাল চায়।
এ সময় মিলন কসমেটিক্স সহ ব্যবহৃত জিনিষপত্র ফেরৎ দিলেও স্বর্নালংকার ফেরৎ না দিয়ে দু-একদিন পরে দিবে বলে তাকে বিদায় করে দেয়।
এরপর পুনরায় সে আসলে তাকে স্বর্ন ফেরৎ না দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে এবং নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিদায় করে দেয়। এঘটনায় থানায় দুবাই প্রবাসীর ছোট ভাই বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দেয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় উভয় পক্ষকে ডেকে ও আনা হয়। সেদিন আরো একটি তারিখ দিয়ে উভয় পক্ষকে বিদায় দেয়া হলে থানা গেইটে উভয় গ্রুপের লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ ঘটনা পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সর্বশেষ শুক্রবার রাতেও এনিয়ে থানায় বসা হলে মিলন স্বর্ণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কিছুদিন সময় চায়। পরবর্তীতে সে স্বর্ন ফিরিয়ে দেওয়া তো দুরের কথা উল্টো বাদী কে হুমকি দেয়। দ্বিতীয় দফায় এ নিয়ে থানায় বসা হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে, মিলনের তেমন কোন ব্যবসা না থাকলেও সে মালদ্বীপ, দুবাই সহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ায়।তার মূল ব্যবসাটাই হচ্ছে প্রবাসীদের অর্থ স্বর্নালংকার আত্মসাৎ করা। স্থানীয়দের ধারনা সে স্বর্ন চোরাকারবারী ও হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত।
সূত্র মতে ২০১৭ সালে এক স্কুল ছাত্রী কে শ্লীতাহানির ঘটনায় মিলন কে ফতুল্লা রেল স্টেশন প্লাটফর্মে প্রকাশ্যে কানধরে উঠবস করানোর হয়। সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা সহ এলাকায় গড়ে তুলেছে কিশোর গ্যাং বাহিনী।
এমনকি ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে সে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেছিলো। যা সে সময়ে স্থানীয় সর্বমহলে হাসির খোড়াক জুটিয়েছিলো। নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের সাথে প্রতারণা করা এবং একই সাথে সে হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।