সিদ্ধিরগঞ্জের একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে দগ্ধ জান্নাতি আক্তার (১৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুইজনে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে একই ঘটনায় সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার বড় বোন রহিমা বেগম (৩৫)।
জান্নাতি আক্তার পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার দক্ষিণ চরখালি গ্রামের মো. মোতালেব মিয়ার মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) জান্নাতি আক্তার ১৫ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই ঘটনায় সোমবার তার বড় বোন রহিমা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাগপাড়া এলাকায় একটি টিনশেডের বাড়িতে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় পরিবারের এক শিশুসহ ৬জন দগ্ধ হন। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
দগ্ধরা হলেন- বাঘপাড়া এলাকার নূর মোহাম্মদের স্ত্রী সুখী আক্তার (৩৩), তার মেয়ে সাদিয়া (১০), বোন জান্নাতি আক্তার (১৮), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), ফুপাতো বোন রহিমা আক্তার (৩২) ও রহিমার মেয়ে ঋতু আক্তার (১৩)।
রনি হাওলাদার নামে তাদের এক আত্নীয় জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ বাঘপাড়া এলাকায় টিনশেড বাসাটিতে নুর মোহাম্মদের স্ত্রী সুখী আক্তার স্বপরিবার ভাড়া থাকেন। ১৫-২০ দিন আগে তাদের একটি সন্তান হয়। তাদের সেই সন্তানকে দেখতে স্বজনরা বাসায় এসেছিলেন।
রাতে সেই বাসায় হঠাৎ আগুন লাগে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।তিনি বলেন, কি থেকে আগুন লেগেছে তা স্পষ্টভাবে কেউ বলতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল ধরাতে গেলে জমে থাকা গ্যাস বিষ্ফোরণ হয়ে এ অগ্নিকান্ড ঘটে।