সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মো. রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে র্যাব-১১ এর এএসপি সনদ বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার সোনারগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রানা সোনারগাঁয়ের মাঝের চর এলাকার সোহরাব মেম্বারের ছেলে।
র্যাব জানায়, সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও চর নোয়াগাঁও গ্রামের শফেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম গত ২৫ জানুয়ারি বিকেলে রূপগঞ্জের ভূলতা-গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়ের কাজে অটোরিকশা যোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় নজরুল ইসলাম অটোরিকশা থেকে নেমে অন্য একটি গাড়ি করে গন্তব্যে যাওয়া চেষ্টাকালে অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালক দায়েন ও ঘটনার শিকার রানার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তারা লাঠি দিয়ে ভিটটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তাদের সঙ্গে স্ট্যান্ডের অন্যান্য অটোচালকরা ভিকটিমকে কিল ঘুষি ও মারধর করে। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন ২৬ জানুয়ারি নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানাসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ আরও পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মো. রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১।
সোনারগাঁয়ের যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা