নিহত মিলনের ফাইল ফটো
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার মিলন (৩৬)কে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে নিহতের মা সহিতুন নেছা বাদী হয়ে আজ্ঞাত আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামল্লায় নিহত মিলনের পেশা বাসের হেলপার উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা বলছেন, মিলনের পেশাই ছিলো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড। যার কারণে সে গ্রেপ্তারও হয়েছিল। তারা আশংকা করছেন এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকায়িত রয়েছে। নিরীহ সাধারণ লোকদের হয়রানিসহ অপরাধিদের নির্বিঘ্নে অপরাধ কর্মকান্ড করার পথ করে দেয়া হচ্ছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মিলনকে গত সোমবার দুপুরে আজ্ঞাতনামা আসামিরা আটি গ্রামের দুবাই প্রবাসী শাহজাহানের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর গণপিটুনি ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, কারা কি কারণে মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি ওই এলাকার এক মসজিদের ইমামের বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২১ জানুয়ারি রাতে মিলনের সহযোগী উজ্জল আহম্মেদ ও হৃদয়কে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ একাধিক মামলার আসামি মিলন দলবল নিয়ে ২২ জানুয়ারি দুপুরে তার সহযোগীদের আটক করা গ্রামবাসীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় মারধর করে দুবাই প্রবাসী শাহজাহানকে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। মাইকিং শোনে বিক্ষুব্দ গ্রামবাসী একত্র হয়ে হামলাকারিদের ধাওয়া দেয়। এসময় অন্যরা দৌঁড়ে পালাতে সক্ষম হলেও মিলনকে ধরে গণপিটুনি দেয় লোকজন। এতে তার মৃত্যু হয়।