নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে গণপিটুনিতে কিশোরগ্যাং লিডার  নিহত

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:১৭:৪৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে গণপিটুনিতে কিশোরগ্যাং লিডার  নিহত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে  মিলন (৩৫) নামে এক সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং নেতাকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নাসিকের সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ডের আটি গ্রামের নুরুল মেম্বারের বাড়ির মোড়ে। নিহত মিলন ওই এলাকার কাশেম ওরফে চোরা কাশেমের ছেলে।

সে থানা পুলিশের তালিকাভূক্ত ডাকাত সর্দার সাহেব আলীর অন্যতম সহযোগী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিলনের নেতৃত্বে ডাকাত সর্দার সাহেব আলীর ভাই রবিউল, পিয়াস ও জনিসহ ২০-২৫ জনের কিশোর গ্যাং চক্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুপুরের দিকে এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় একটি মোটর সাইকেলযোগে নিহত মিলন ও জনিসহ তিনজন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান (দুবাই শাজাহান) কে দুটি রামদা নিয়ে হামলা করার চেষ্টা করে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এলাকাবাসী। তখন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার লোকজনকে সংঘবদ্ধ করে তাদের ধাওয়া দেয়া হয়। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও দল নেতা মিলনকে ধরে গণপিটুনি দেয় লোকজন। এতে সে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ মিলনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 স্থানীয়দের অভিযোগ, মিলনের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং চক্র এলাকায় ছিনতাই ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা করছে দীর্ঘদিন ধরে। তারা প্রতিদিন রাতে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয়। তাদের এসব কর্মকান্ডে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করা স্থানীয়দের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ। তারা আরও জানান, এরআগেও মিলন গ্রেপ্তার হয়েছিল। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে এসে সে পুনরায় সন্ত্রাসী ও ডাকাতি কর্মকান্ড শুরু করে।

এরআগে গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার তারা ওই এলাকার এক মসজিদের ইমামের বাসায় দলবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করেন। এরপর রবিবার রাতে তাদের দলের দুজন সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।

এদিকে ঘটনার পর নিহত মিলন ও চক্রের অন্য সদস্যের পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি মিলন নামে এক সন্ত্রাসীকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকার লোকজন। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

মিলন এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। সে ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াত। 


জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব বকুর সিদ্দিক বলেন, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।