নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৪ নভেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলেকে আটকে রেখে বাবার কাছে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২০:০৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলেকে আটকে রেখে বাবার কাছে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শান্ত (১৩) নামে এক কিশোরকে আটকে রেখে মারধর ও তার বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা চাঁন বাদশা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলার আসামিরা হলেন-সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী কবরস্থান এলাকার আলাউদ্দিন (৫৫) ও সরদারপাড়া এলাকার কাউছার (১৩), একই এলাকার আইমান (১৮), রাতুল (১৮), সিয়াম (১৮) ও রাহাত (১৮)।

পুলিশ মামলার সূত্রধরে কিশোর গ্যাং চক্রের পশ্রয়দাতা আলাউদ্দিন (৫৫)  ও চক্রের এক সদস্য কাউছার (১৩) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভিকটিম শান্ত সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ আজিবপুর রেললাইন চৌরাস্তা এলাকার চাঁন বাদশার ছেলে।

চাঁন বাদশা বলেন, আমার ছেলে শান্ত পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে। এ বছর তাকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ঠিকমত পড়াশোনা না করায় ভর্তি করিনি। তাই সে আমাকে না জানিয়ে গার্মেন্টসে কাজ খোঁজ করছিল। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাউছার আমার ছেলেকে গার্মেন্টসে কাজ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাইনি। 

ওই রাতে আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে আমার মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। তখন আমাকে বলা হয়, আপনার ছেলে আমাদের কাছে আছে। তাকে নিতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একা হীরাঝিল মক্কীনগর মাদরাসার সামনে আসেন। পরে আমি আমার শ্যালক মুন্নাকে সঙ্গে নিয়ে ওই মাদরাসার সামনে গেলে আসামিরা আমাকে ওই এলাকার একটি গলিতে নিয়ে যায়। 

আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ছেলের এ অবস্থা কেন জানতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে বলে। এসময় এলাকার কিছু লোকজন ছুটে আসলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রিন্টু চন্দ্র বলেন, বাদির লিখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ১২ জানুয়ারি রাতে সরদারপাড়া এলাকা থেকে কাউছার আর ১৩ জানুয়ারি ভোরে মিজমিজি এলাকা থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করি। মামলার অন্য ৪ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।